ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

তেল-মসলা উৎসব!

আশরাফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১২
তেল-মসলা উৎসব!

ঢাকা: ‘‘গৃহিনীর হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে/না জানি গৃহিনী মোরে কেমন করে রাঁধে’’ ভোজনপ্রিয় বাঙালির রান্না নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না কোন কালেই। যুগের পরিবর্তনে রান্না ক্রমেই হয়ে উঠছে আকর্ষণীয় শিল্প।

রন্ধন শিল্পে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানটি হচ্ছে তেল ও মসলা। মূলত: মসলা আর তেলের বহুমাত্রিক ও যথাযথ প্রয়োগেই রান্না হয়ে ওঠে মুখরোচক-আকর্ষণীয়। কিন্তু রান্নার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান মসলা-তেলের গুরুত্বের কথা বলা হয় সামান্যই।

বিশেষ করে দেশে মসলা জাতীয় শস্যের উৎপাদন প্রয়োজনের অর্ধেক। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও তাই। উৎপাদনের বিশাল ঘাটতি মেটাতে আমাদের নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। এতে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে।

শুধু রান্নার স্বাদ আর দৃষ্টিমুগ্ধতার জন্যই নয়, পুষ্টি চাহিদা পূরণেও মসলা ও তেলের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে সেটা পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করা অবশ্যই বাঞ্ছনীয়।

রন্ধন শিল্পে মসলা ও তেলের  গুরুত্ব তুলে ধরতে ১৫-১৮ অক্টোবর রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির বিপরীতে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে ব্যতিক্রমী মসলা-তেল উৎসব। এসিএস কমিউনিকেশনস ব্যতিক্রমী এই তেল-মসলা উৎসবের আয়োজন করছে।

এ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ফার্ম ব্রডকাস্টিং কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম মসলা-তেলের বহুমাত্রিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তেল-মসলা জাতীয় ফসলের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সব তেল মসলা-তেলেই রয়েছে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান। এসব উৎপাদনে বালাই উপদ্রুব খুবই কম।  

তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘দেশে উৎপাদিত মসলা জাতীয় শস্যের যে পরিমাণ চাহিদার অর্ধেক মেটাতে পারে। বাকি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। একই ভাবে তেলের প্রায় সিংহ ভাগই আমদানি করতে হয়। এতে দেশের বিপুল বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই এসবের চাষে আরো এগিয়ে আসতে হবে কৃষকদের। ’’

‘‘পোকামাকড় দমনে মসলা জাতীয় ফসলের ভূমিকা সুবিদিত। ফসলের ক্ষেতের চারপাশে মসলা শস্য লাগিয়ে রাখলে তা পোকামাকড় আক্রমণের হাত থেকে ফসলকে সুরক্ষা করবে’’-যোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম।

মসলা জাতীয় শস্যের বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘কেউ শিশুকাল থেকে দিনে একটি করে কাঁচামরিচ খেলে তার চোখে কোন সমস্যা হবে না। রসুন হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুনভাবে সহায়ক। এভাবে প্রতিটি মসলারই পুষ্টিগুণে ভরপুর।

মসলা-তেল উৎসবের আয়োজক এসিএস কমিউনিকেশনসের হেড অব ইভেন্ট এম এ সামাদ বলেন, যারা মসলা-তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত তাদের একত্রিত করা এবং এর মাধ্যমে গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন, রন্ধন শিল্পকে আরো জনপ্রিয় করাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। ’’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।