অনন্যা ৩০ পেরিয়েছে। সে আজকাল কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগ্রহ বোধ করে না।
কিন্তু প্রকৃতির নিয়মেই আমাদের বয়স বাড়বে আর আমাদের শরীর এবং মনের পরিবর্তনও খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এসব সমস্যার সমাধান তো করাই যায়, আজকাল অনেক ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে। লেজার তার মধ্যে অন্যতম। তবে এসব চিকিৎসার দীর্ঘ মেয়াদী ফলাফল আমাদের জন্য খুব ভালো হয় না। হুম পার্লারে যাওয়া যায়, সেখানেও সমস্যা? নিয়মিত যেতে যে সময় এবং অর্থের প্রয়োজন তা সবার সাধ্যের মধ্যে অনেক সময়ই থাকে না।
তাহলে উপায়?
আসলে আমরা নিজেদের সব সময়ই বয়সের চেয়ে তরুণ দেখাতে চাই। এজন্য যা করতে হবে:
খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবার জ্যাম, জেলি, আচার, জুস, কেচাপ, মাংসের সসেজের পরিবর্তনে প্রচুর পরিমাণে সাধারণ শাক-সবজি, ফল, মাছ খান।
ময়েশ্চারাইজার: লক্ষ্য করেছেন কি? আমরা অনেক সময়ই এমন অনেককে দেখি যাদের মুখ ঠিকই কোমল মসৃণ কিন্তু হাত বা গলার ত্বক শুষ্ক আর বয়স্ক লাগে। এর মূল কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা। প্রতিদিন অন্তত একবার ত্বক ভালো ভাবে পরিস্কার করে ভালো মানের এসপিএফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
পানি…পানি…পানি
প্রতিদিন কম হলেও দুই লিটার পানি পান করুন। মাত্র কিছু দিন নিয়মিত দুই লিটার পানি পান করুন, ত্বকের পরিবর্তন আয়নায় অচিরেই ধরা পড়বে। ওহ, বাড়তি ওজন কমানোর জন্যও পানি পান হতে পারে দারুণ মাধ্যম।
ভিটামিন সি
প্রতিদিনের খাবারের ওপরই আমাদের ত্বক এবং সৌন্দর্য নির্ভর করে। লেবু, কমলা, আমলকি, কামরাঙ্গা, আমড়া, জলপাই যে কোনোটি রাখুন খাবারে। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল নিয়মিত খান আর ত্বকেও মাখুন।
দাঁত
ঝকঝকে সাদা-সুস্থ দাঁতে আমাদের আত্মবিশ্বাসী হাসি, চেহারার বয়স অনেকখানি কমিয়ে দেবে। নিয়মিত সকালে ও রাতে ব্রাশ করুন। মাঝে মাঝে লেবুর রস অথবা স্টবেরির সঙ্গে বেকিং পাউডার দিয়ে ব্রাশ করুন। আর দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে বছরে একবার দাঁত দেখিয়ে আসুন।
ভি শেপ
একটি রহস্য জেনে নিন, পোশাকের গলার কাট ভি শেপের হলে আমাদের দেখতে কমবয়সী ও স্লিম লাগে।
লিপগ্লস: আমরা সাজের সময় ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিক ব্যবহার করি। কিন্তু লিপিস্টিকের পরিবর্তে লিপগ্লস ব্যবহারে পুরো মুখেই একটি বাড়তি গ্লো দেখা দেয়।
চাপমুক্ত
মানসিক চাপ আমাদের শরীর মন চেহারা সব কিছুতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সুন্দর থাকতে চাইলে দুশিন্তাগুলোকে বিদায় জানান। ছোট্ট কিছু নিয়ম শিখে নিতে পারেন মন ভালো করার, যেমন লম্বা করে শ্বাস নেওয়া।
হেয়ার স্টাইল
আমাদের অনেকেরই জানা নেই, কেমন চুলে আমাদের সুন্দর দেখায়, বা আমাদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সব চেয়ে ভালো মানায়। তাই একজন বিউটি এক্সপার্টের পরামর্শ নিয়ে হেয়ার স্টাইল ঠিক করে নিন।
ব্যায়াম
বেঢপ মোটা ফিগারে কিন্তু আমাদের আরও বয়স্ক লাগে, তাই ফিগার মেইনটেইন করতে অবশ্যই নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে।
ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে, একথাগুলো তো আমরা জানি। এটা জানেন তো, আমাদের ত্বকও কিন্তু ঘুমের মধ্যেই পরের দিনের জন্য প্রস্তুত হয়।
বাজারে চটকদার বিজ্ঞাপনে যতোই বলা হোক একটি ক্রিম মেখেই আমাদের ১০ বছর কম বয়সী দেখাবে নিজেরা যত্ন না নিলে তা কিছুতেই সম্ভব নয়। নিজেকে সাজিয়ে রাখুন আর মনের সতেজতা ধরে রাখুন।