দিনটি এলেই সভা-সেমিনার আর মিছিলে মুখরিত হয় চারদিক। কিন্তু শ্রমিকদের কাজের মূল্যায়ন, তাদের অধিকার, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, তাদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করতে হবে প্রতিদিন।
আসলেই শ্রমিকরা কেমন আছেন বা তারা প্রাপ্য অধিকার কি পাচ্ছেন?
রাস্তায় পিচ পোড়ানোর কাজ করেন আসমা (৪০)। তিনি বলেন, দিনে ৩০০ টাকা মজুরিতে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। কাজ একটু বেশি তবে টাকা সময় মতোই পান।
দেশের অর্থনীতির চাকা উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে বড় অবদান তৈরি পোশাকের। যার ৭০ শতাংশের বেশি নারী শ্রমিক। তিন হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন রিচম্যান অ্যাপারেলসে।
এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বাসিরুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, সব শ্রমিকের বেতন ও ওভারটাইম পরের মাসের শুরুতেই দিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে শ্রমিকদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা, খাবারের জন্য ও ছোট শিশুদের রাখার জন্য নিরাপদ আলাদা জায়গাও রয়েছে। প্রতিটি ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারিসহ সরকারি ছুটি ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয় শ্রমিকদের। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসেন। নির্দিষ্ট সময়ে বেতন বাড়ানো হয়।
কাজের পরিবেশ হবে শ্রমিক বান্ধব, বৈষম্যহীন, মানবিক। সব শ্রমিকরা নিজেদের মর্যাদার সঙ্গে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারবেন। এই হোক মহান মে দিবসের চাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮