ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্ঘটনায় নিহত লিমনের পরিবারকে অটোরিকশা দিলেন পাবনার এসপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
দুর্ঘটনায় নিহত লিমনের পরিবারকে অটোরিকশা দিলেন পাবনার এসপি

পাবনা: সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা ও নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের কাছে অটোরিকশা ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম, বোন নাজমুস সাবা খুশবু, মা জীবন নাহার বেগমসড় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা ।  

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত ১টার দিকে শাহদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি ওই অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমন (২৫) নিহত হন। লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। প্যারালাইসিস বাবা, মা, স্ত্রী আর সেই সঙ্গে ২ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে চলতো লিমনের পরিবার। এখন তারা চরম দূর্দশাগ্রস্ত জীবন যাপন করছেন। লিমনের মৃত্যুতে অর্থনৈতিক দিক থেকে তার পরিবার খুবই অসচ্ছল হয়ে পড়েছে।

বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে আসলে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে লিমনের পরিবারের সদস্যদের একটি অটোরিকশা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজিটি মেরামতের জন্য আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এতে করে সিএনজি ও অটোরিকশা ভাড়ায় দিয়ে লিমনের পরিবার সচ্ছলভাবে চলতে পারবে।

পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন, আমার শশুর-শাশুড়ি ও ২ বছরের অসহায় মেয়ের দিকে তাকিয়ে স্যার (পুলিশ সুপার) অনেক উপকার করেছেন। তার এ উপকার আমরা কোনোদিন ভুলবো না। আমরা দোয়া করি তিনি যেন এভাবে আরও অনেক অসহায় পরিবারের পাশে থাকতে পারেন। আল্লাহ যেন তাকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার তৌফিক দান করেন এবং সুস্থ হায়াত দান করেন।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, যে চলে গেছেন তাকে তো আর ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু তার চলে যাওয়ায় যে পরিবারটি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সে জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এতে লিমনের অসহায় বাবা-মা ও তার স্ত্রী-সন্তান অন্তত দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।