ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সবজির দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
সবজির দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির ফাইল ফটো

ঢাকা: বাজারে শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। কমেছে মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।

এছাড়া অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতলের দাম ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

বাজারে কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কিছুদিন আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। ডজনে ১০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কম আছে। কিন্তু বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়। শীতকাল আসলে হাঁসের ডিমের চাহিদা একটু বেড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায় হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম।  ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৩০০-৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।

মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে। এমনিতে শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।

রাজীয়া সুলতানা রামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। সবজির দামও বেশি। বাজারে এসে কোনো কিছু কিনে স্বস্তি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।