ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বর্ণিল আলোকসজ্জায় রাজধানীতে বিজয় উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
বর্ণিল আলোকসজ্জায় রাজধানীতে বিজয় উদযাপন

ঢাকা: ৫১তম মহান বিজয় দিবসে লাল-সবুজসহ নানা রঙের আলোয় সেজেছে তিলোত্তমা নগর ঢাকা। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এই দিবসে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণিল আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সন্ধ্যায় সরেজমিনে নগরের মতিঝিল, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, হাইকোর্ট, কারওয়ান বাজার, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, সাদা, বেগুনিসহ বিভিন্ন রঙের বাতি দিয়ে সাজানো রয়েছে।  

বিভিন্ন ভবনে আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লাল সবুজের পতাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

বিজয়ের এই দিনে রাজধানীবাসী মেতে ওঠে বিজয়ের উচ্ছ্বাসে। বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখতে নগরের বিভিন্ন স্থানে মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে মতিঝিল ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আলোকসজ্জা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও বলাকা চত্বরে সন্ধ্যার পরে আশপাশের এলাকা থেকে বাসিন্দারা আলোকসজ্জা দেখতে আসেন। এ সময় মুগদা এলাকা থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ইয়াসিন শরীফের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের এই প্রতিবেদকের।

শরীফ বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয় দিবসে তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। চারদিকে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ হচ্ছি।

কারওয়ান বাজারে পথ চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে আলোকসজ্জার ছবি তুলছিলেন শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোশারফ হোসেন।

তিনি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে হাতিরঝিল যাচ্ছিলাম। কারওয়ান বাজারের ভবনগুলো এত সুন্দর করে সাজিয়েছে যে, ছবি না তুলে থাকতে পারলাম না। একটা ভবনে আলোর মাধ্যমে আমাদের পতাকা ও জাতির পিতার ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দেখে বুকটা গর্বে ভরে গেল।

জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ১০ বছরের মেয়ে শুদ্ধি, দুই বছরের ছেলে শুদ্ধ ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বনানী বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক সুজিত ভৌমিক। তিনি বলেন, বিজয় শব্দটির সঙ্গে উচ্ছ্বাস, হাসি ও আনন্দ জড়িত। ছেলেমেয়েরা যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ ও বিজয়ের মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে পারে, তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

একই জায়গায় কথা হয় গৃহিণী নিধি চৌধুরীর সঙ্গে। স্বামী রেজা চৌধুরী ও এক বছরের কন্যাসন্তান নাইজাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তিনি। নিধি বলেন, আমার মেয়ের এটিই প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন। গত দুই বছর করোনার জন্য বের হতে পরিনি। তাই এবার ঘুরতে বের হয়েছি। চারদিকে মানুষের বিজয়ের আনন্দ দেখে ভালো লাগছে।

গত বছর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয় দিবস বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। রাজধানীর প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা বিজয় উদযাপনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এবার সেই তুলনায় কিছুটা কম আলোকসজ্জা করা হলেও মানুষের মাঝে বিজয়ের আনন্দের কমতি ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।