ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা ক্ষমতায় এলে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবো: চুন্নু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
আমরা ক্ষমতায় এলে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবো: চুন্নু

ঢাকা: ‘দেশে বেকার সমস্যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। গত ৩২ বছরে কোনো সরকার বেকার সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।

দেশে এখন ৫ কোটি বেকার। এদের একটা বিপথগামী অংশ সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় দলবাজির নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত হয়ে আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই বেকার তৈরি করে যাচ্ছে। আমরা এ শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অরাজকতা, নাশকতা ও সহিংসতা তৈরি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বেকার তৈরির বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করবো। শিক্ষিত বেকারদের জন্য আমরা বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা চালু করেছিলাম। কোটি কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেবো। ’

রোববার (৫ মার্চ) বনানীস্থ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা পার্টি ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ কথা বলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম। কিন্তু ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুটপাটের রেকর্ড গড়ে স্বাধীনতার চেতনা ভুলুন্ঠিত করে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বিএনপিও ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবন তৈরির মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচার করে দুর্নীতিবাজ হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়েছে। জনগণ আগামী নির্বাচনে এই দুই দলকেই প্রত্যাখান করবে। জাপার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে এই দুই দলের চেয়ে বেশি কাজ করেছে। জনগণ আজ জাপার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। জনগণ আবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই এ মুহূর্তে জাপাকে সু-সংগঠিত হয়ে জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।  

জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পার্টির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভাকেট রেজাউল করিম বাছেদ, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, সামছুল আলম লিপ্টন, কেন্দ্রীয় সদস্য বাছেদ আলী টিপু, আনোয়ার হোসেন খান শান্ত, শামীম আহমেদ রিজভী, মুক্তিযুদ্ধা পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোমিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ আলী মোল্লা, প্রাক্তন সৈনিক পার্টির নেতা মো. ফয়েজ আলম ভূঁইয়া, মো. হাফিজ উদ্দিন, মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী, মো. আব্দুল মতিন, মো. সালাউদ্দিন কাদের, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আতাউর রহমান, মো. আব্দুল মজিদ, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. হানিফ নেগাবান, মো. আলেফ রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা খ ম নুরুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রমিজ উদ্দিন, মো. আব্দুল জলিল, মো. শাহজাহান, মো. নুরুজ্জামান চেয়ারম্যান, মো. রফিকুল ইসলাম রতন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, মো. আবুল হাশেম, মো. আব্দুল মোতালেব, মো. শুক্কুর আলী, মো. মামুন, মো. মিনহাজুল আবেদীন, রেজাউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির নেতা উজ্জ্বল চাকমা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।