ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

খুলনা: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মো. শহীদুর রহমান খান ও রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজাহারুর আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে-৩ এ মামলা দায়ের করা হয়।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালত মামলা গ্রহণ করে সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী একজন সরকারী কর্মচারী ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে ২০২১ সালে কর্মরত ছিলেন। অপরদিকে মামলার ১নং আসামি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কন্ট্রোলার বোর্ডের প্রধান ও ২নং আসামি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১নং আসামি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম তলায় অফিস ও বাসা পাশাপাশি সেখানেই থাকতেন। সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ২নং আসামি, বাদীকে ১নং আসামির খাওয়ার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। বাদী প্রতিদিন ১নং আসামির অফিসে খাবার পৌঁছে দেন। সেই সুবাদে ১নং আসামি, বাদীকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। বাদী তার কোনো কথায় রাজি না হয়ে ২নং আসামিকে বিষয়টি জানায়। এক পর্যায়ে ২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১নং আসামি খাবার দিতে এলে পরিকল্লিতভাবে ২নং আসামির সহযোগীতায় ১নং আসামি বাদীকে ধর্ষণ করেন। ২ নং আসামি অফিসের বাইরে ছিলে। বাদী বেরিয়ে আসার সময় ২ নং আসামি, তাকে বলে যে, আজকের ঘটনা তুমি কাউকে বলবে না, তাহলে তোমার চাকরি থাকবে না, আর স্যারকে বলে স্যারের সাথে তোমার বিয়ে দেয়ে দেব। তুমি তোমার স্বামীকে তালাক দিয়ে দাও।  

বাদী চাকরির কথা বিবেচনা করে ও সামাজিক অবস্থান লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু জানায় না। ১ ও ২নং আসামিদের কথামতো বাদী তাহার স্বামীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন ২ নং আসামি বাদী ও ১নং আসামিকে বিবাহ করাইয়া দেওয়ার জন্য ১০০/-(একশত) টাকার তিনটি নন- জুডিসিয়াল ট্ট্যাম্পে ১নং আসামির নিজ হাতে একটি অঙ্গীকারনামা লিখে ২নং আসামিকে দিলে তিনি উক্ত অঙ্গীকারনামা বাদীকে প্রদান করেন। তখন বাদী তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে। তখন ১নং আসামি বাদীকে বিয়ে না করে আজ কাল এ কথা সেকথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে এবং ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বাদীকে ভুল বুঝিয়ে, বাদীর সাথে স্থামী-স্ত্রীর পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকে। এক পর্যায়ে খুলনা হইতে ১ নং আসামি বদলী হয়ে যান এবং গত ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে বাদীর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।