ঢাকা: ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ভারত বিচিত্রার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মৈত্রীর সেতুবন্ধের লক্ষ্যে প্রকাশিত পত্রিকাটির ৫০ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
ভারতীয় হাইকমিশনে আয়োজিত মোড়ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
প্রণয় ভার্মা বলেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে ভারত বিচিত্রা প্রথম প্রকাশ করা হয়। সেই থেকে পত্রিকাটি দুদেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। এর ফিচার, আর্টিকেল, গল্প, কবিতা পাঠকদের অনুপ্রাণিত করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য ও স্বতন্ত্র। দুদেশ ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, মূল্যবোধ, সীমানা ভাগাভাগি করছে। আমাদের মধ্যে অংশীদারত্ব ও বন্ধুত্ব শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা মনে করি প্রতিবেশীই প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম। ভবিষ্যতে দুদেশ একসঙ্গে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ভারত বিচিত্রার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক আগের। কবি বেলাল চৌধুরী যখন সম্পাদক ছিলেন তখন থেকেই এর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। তখন ধানমন্ডিতে তার অফিসে আড্ডা হতো। এ পত্রিকাটিতে প্রথম সারির কবি-সাহিত্যকরা লিখেছেন। আমারও লেখা ছাপা হয়েছে।
ভারত বিচিত্রার প্রচ্ছদে বঙ্গবন্ধু, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল যখন যাকে তুলে আনা দরকার, সেটাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে রক্তের বন্ধন। এ বন্ধন শুধু দুদেশের সরকারেই নয়, দুদেশের জনগণের মধ্যে। তবে কখনও কখনও দুদেশের সম্পর্ক প্রশ্নবিদ্ধ বা নষ্টের অপচেষ্টা করা হয়ে থাকে। আশা করি, সেটা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে ভারত বিচিত্রা।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে লেখিকা সেলিনা হোসেন বলেন, ভারত বিচিত্রা সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে উন্মুক্ত। এটি অন্যন্য সাধারণ একটি পত্রিকা। এটি ৫০ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রজন্মের সামনে দুদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত তুলে ধরছে। এটি শুধু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিভিন্ন রাজ্যের লেখকদেরও লেখা প্রকাশ হয়। ৫০ বছরে পত্রিকাটির অনেক বড় অর্জন রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত বিচিত্রার দ্বীপ শিখা প্রজ্জ্বলিত থাকলে শিল্প সাহিত্য আরও এগিয়ে যাবে। সবার মধ্যে সাহিত্যের বিস্তার ঘটবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকাটিকে বিশেষ মর্যাদায় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ভারত বিচিত্রার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম বেলাল চৌধুরীর মাধ্যমে। তিনি সম্পাদক হওয়ার পর সব প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখা এতে ছাপাতেন। পত্রিকাটির জন্য শুভ কামনা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক নান্টু রায়। এতে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি অসীম সাহা, ঝর্ণা রহমান ও ফারুখ মাহমুদ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারত বিচিত্রার সম্পাদক অরবিন্দ চক্রবর্তী। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
টিআর/আরবি