ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় আলাদা বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় শিশু পার্কে ভিড়

জয়ন্ত জোয়ার্দ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
মাগুরায় আলাদা বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় শিশু পার্কে ভিড় ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: কুমার নদীর নির্মল বাতাসের সঙ্গে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ঢেউ। তারই মধ্যে গড়ে ওঠা প্রকৃতির সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা পৌর শিশু পার্ক।

জেলার শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক এখন বিনোদন প্রেমীদের কাছে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এখানেই আসেন শহরের বাসিন্দারা। জেলা শহর থেকে একটু দূরে পারন্দুয়ালী ও লক্ষীকান্দর গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থানে গড়ে ওঠেছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থেকেই এখানে ভিড় বাড়তে থাকে বিনোদন প্রেমীদের। আদতে শিশু পার্ক হলেও নানা বয়সী মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য এটি অন্যতম জায়গা হয়ে ওঠেছে। মূলত, বয়সভিত্তিক আলাদা কিংবা বড় কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় চিত্ত বিনোদনের জন্য এ শিশু পার্কেই আসছেন জেলার মানুষজন।

পৌর শিশু পার্কে বেড়াতে আসা ফয়সাল পারভেজ বলেন, মাগুরায় বড় ধরনের কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় নদী তীরে গড়ে ওঠা শিশু পার্কে মানুষ বেশি আসছে। ইট পাথরের শহর ছেড়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রকৃতির কাছে ছুটে আসা। সঙ্গে ছোট শিশুদের প্রকৃতি ও নদীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আসল উদ্দেশ্য।

তিনি আরও বলেন, পৌর শিশু পার্কে শিশুদের জন্য বেশ কিছু রাইড রেখেছে কর্তৃপক্ষ। রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে হানি সুইং, মেরি টোবাগার, ট্রেন ও নাগরদোলা। এছাড়া বিনোদন প্রেমীদের বিশেষ আকর্ষণে রয়েছে স্পিডবোট।

স্কুল শিক্ষিকা নাসরিন বেগম বলেন, চাকরি ও পরিবার নিয়ে বেশির ভাগ সময় কেটে যায়। ফলে বাইরে তেমন একটা বের হওয়া হয় না। ঈদ আসলে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার একটা সময় পাওয়া যায়। পৌর পার্কে শিশুদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। এখানে খুব ভালো লাগছে। সুন্দর একটি পরিবেশ।

পৌর শিশু পার্কের পরিচালক আহসান মঞ্জুর বাংলানিউজকে বলেন, পৌর শিশু পার্কটি চার পাশ থেকে নদী দিয়ে ঘেরা। বিনোদন প্রেমীরা এখানে কুমার নদীর নির্মল বাতাস উপভোগ করছেন। ছোট শিশুদের নদীর সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার খুব ভালো সুযোগ আছে এখানে।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে জায়গার পরিমাণ বৃদ্ধি করে এখানে পিকনিক স্পট তৈরি করা হবে। পাশাপাশি বিনোদন প্রেমীদের থাকার জন্য সুন্দর আধুনিক মানের কটেজ নির্মাণ করা হবে। এতে করে ভবিষ্যতে এখানকার বিনোদনের জন্য আরও স্পট বৃদ্ধি পারে। পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যমে যোগ হবে ভিন্নমাত্রা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।