ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টাকা হাতিয়ে তোতা মিয়াকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
টাকা হাতিয়ে তোতা মিয়াকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা

বরিশাল: মাত্র ৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর তোতা মিয়া নামে এক টাইলস মিস্ত্রির পা বেধে নদীতে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই পূর্ব পরিচিত জাহিদ ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (৩ মে) বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকার কড়ইতলা নদী অংশে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে ভর্তি করা হয়েছিল তোতা মিয়াকে। সেখানে ২০ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলেন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর ত্রিশ বছরের এ যুবক উপরের কথাগুলো জানান। পুলিশ তার বক্তব্য রেকর্ড করেছে।

তোতা মিয়া সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আশ্রব আলী। তবে তিনি সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চাঁদেরহাট গ্রামের শ্বশুর নুরুজ্জামানের বাড়িতে বসবাস করেন। তোতার একটি সন্তান আছে।

পুলিশকে তোতো বলেছেন, কয়েক বছর আগে বরিশাল সদর উপজেলার বুখাইনগর এলাকার বাসিন্দা জাহিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে জাহিদের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় জাহিদ তোতাকে নিয়ে স্পিডবোটে নদীতে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিকেলে তারা ঘুরতে বের হন। স্পিডবোটটি সদর উপজেলার সাহেবেরহাট এলাকা পৌঁছলে জাহিদের দুই পরিচিত সেটিতে ওঠেন। তাদের সঙ্গে ব্যাগ ছিল।

তোতা বলেন, সন্ধ্যার দিকে জাহিদ ও তার সহযোগীরা আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার কাছে থাকা ৬ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই দুই ব্যক্তি ব্যাগ থেকে রশি বের করে আমার দুই পা বেধে ফেলে। কালাবাদর বা তার কাছাকাছি এলাকায় স্পিডবোটটি এলে তারা আমার দুই হাত বাধার চেষ্টা করে। এ সময় আমি নদীতে ঝাঁপ দিই। আমি চিৎকার করতে শুরু করলে জাহিদ ও তার দুই সহযোগী স্পিডবোটটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে সাঁতরে লাহারহাট সংলগ্ন কড়ইতলা নদীর অংশে পৌঁছলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। এরপর বন্দর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে ভর্তির পর অজ্ঞান হয়ে যান তোতা মিয়া। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকালে ৩টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তার আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ঘটনাটি ছিনতাইয়ের হতে পারে আবার পারিবারিক বিরোধ থেকেও হতে পারে। তোতা মিয়াকে আমরা লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি।

বন্দর থানা পুলিশ তোতা মিয়াকে উদ্ধার করলেও ঘটনাটি কড়ইতলা নদী এলাকায়। মামলা দায়ের হলে সেটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।