ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৯ লাখ টাকায় রিয়াল কিনে মিললো গামছায় মোড়ানো কাগজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
৯ লাখ টাকায় রিয়াল কিনে মিললো গামছায় মোড়ানো কাগজ

ঢাকা: মাত্র নয় লাখ টাকায় মিলবে নয় লাখ রিয়াল (সৌদি মুদ্রা)। বোন হজে যাচ্ছেন, কম দামে এত রিয়াল কেনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি ডা. এটিএম মাহবুবুল আলম (ছদ্মনাম)।

টাকা পরিশোধ করে রিয়াল ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাসায় ফিরে দেখেন, গামছায় মোড়ানো কাগজের বান্ডিল।

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে রাজধানীর বনানী থানায় একটি অভিযোগ করেন মাহবুবুল আলম। তার অভিযোগের তদন্তের পর কম দামে সৌদি রিয়াল বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করায় প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তাররা হলেন-মো. মিরাজ তালুকদার, মো. আহাদ শেখ, মো. হায়দার মৃধা, মফিজুল মিয়া ও ইমারাত মোল্লা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডা. এটিএম মাহবুবুল আলম গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি সৌদি রিয়েল কোথায় ভাঙানো যায় তাকে জিজ্ঞেস করেন। ডা. মাহবুবুল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এআর মানি এক্সচেঞ্জ দেখিয়ে দেন।

তখন মাহবুবুলকে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে এআর মানি এক্সচেঞ্জে যান। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মানি এক্সচেঞ্জে থেকে ১০০ রিয়াল পরিবর্তন করে টাকা নেন। এআর মানি এক্সচেঞ্জ থেকে বের হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মাহবুবুলকে জানান তার কাছে আরো অনেক সৌদি রিয়াল আছে। যা মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে একটু কম মূল্যে নয় লাখ রিয়াল নয় লাখ টাকায় দিতে পারবেন।

ডা. মাহবুবুলের বোন হজ করতে সৌদি আরব যাবেন। সৌদি রিয়াল প্রয়োজন হওয়ায় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে রিয়াল কিনতে আগ্রহী হন তিনি। পরবর্তীতে ১ মার্চ সেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মাহবুবুলকে ফোন করে রিয়াল নেওয়ার জন্য বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ আসতে বলেন।

ডা. মাহবুবুল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা মতো আসেন। তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে আসা দুজন ব্যক্তি তাকে একটি ব্যাগ দেন। তারা জানান, ব্যাগের মধ্যে রিয়াল আছে। মাহবুবুল আলম সরল বিশ্বাসে ব্যাগটি গ্রহণ করে নগদ নয় লাখ টাকা দেন।

পরে বাসায় গিয়ে ব্যাগটি খুলে ভেতরে কাগজ গামছা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পরে বনানী থানায় মামলা করেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপর ২১ মে গোপালগঞ্জ থেকে লিয়াকতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) চক্রের আরো পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩ 

পিএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।