ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কখনো ব্যত্যয় ঘটাননি শহীদ কামারুজ্জামান: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কখনো ব্যত্যয় ঘটাননি শহীদ কামারুজ্জামান: লিটন কথা বলছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহী: রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যে জাতীয় চার নেতা নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।  তাদের মধ্যে অন্যতম একজন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান।

তার প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাইতো ১৯৭৪ সালে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে এএইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কখনো ব্যত্যয় ঘটাননি শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান। তিনি ছিলেন ব্যক্তিগত লোভের ঊর্ধ্বে।

বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।  

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম।  সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশে যখন নির্বাচন আসে, তখন নানা ষড়যন্ত্র হয়।  

রাজশাহীতেও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা বিজয় অর্জন করবো। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করে যাব।

সভায় প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. আবুল কাশেম বলেন, এএইচএম কামারুজ্জামান ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর হয়ে ওপরের দিকে গেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালের জুনের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন।  সেই নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ২৮ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রটি এএইচএম কামারুজ্জামানের নামে প্রকাশিত এবং সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দর্শন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আলাদা নির্বাচনী ম্যানিফেস্টু ছিল না। ২৮ পৃষ্ঠার সেই দলিলকে উপজীব্য করে মানুষের কাছে ভোট চাওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।  এ ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। আমাদের পূর্ব প্রজন্ম কেমন ছিলেন, আমাদের জন্য তারা কত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, সেটি জানতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পিতা বা পিতামহের টাকা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি দিতে পারতেন।  তিনি বড় ব্যবসা করতে পারতেন।  ভালো চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেগুলোর কোনোদিকে না গিয়ে রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবা করার ব্রত নিয়েছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবার নজির স্থাপন করেছিলেন। এজন্য তিনি জনগণের কাতারে এসেছিলেন। অন্য জাতীয় তিন নেতারও অনুরূপ ইতিহাস। জাতীয় চার নেতা জনগণের কাতারে থেকে জনসেবা করার ব্রত নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তারা রাজনীতির উচ্চতর শিখরে আরোহণ করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় চার নেতা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন, এটি তাদের অসাধারণ অর্জন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু,শিল্প ও আরোহণবিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, আখতারুল আলম, আলিমুল হাসান সজল, বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।