ঢাকা: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উড়াল সড়কে উঠে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক যেতে তার সময় লেগেছে মাত্র ১২ মিনিট।
শনিবার (৮ জুলাই) তেজগাঁও রেলস্টেশনের ওপরে উড়াল সড়কের উপরে করা অস্থায়ী সভামঞ্চে পৌঁছাতে মন্ত্রী ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন। এ সময় সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রথমবারের মতো উড়াল সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচলের সুযোগ হয় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী গণমাধ্যমকর্মীদেরও।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। জানান, স্বল্প সময়ে এক্সপ্রেসওয়ে পার করতে পেরে তিনি দারুণ অভিভূত।
ওবায়দুল কাদেরের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বাংলানিউজকে বলেন, খুব দ্রুত সময়ে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও আসতে পেরে তিনি অভিভূত হয়েছেন। কাজ দ্রুতগতি এগিয়ে যাওয়ায় সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন তিনি। একবছরের বেশি সময়ে পরে এ প্রকল্পের পরিদর্শনে এসে প্রথমবারের মতো যানবাহন নিয়ে উপরে উঠেছেন তিনি।
পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা চালু হলে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ ও যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
এক্সপ্রেসওয়ে তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ, বনানী থেকে মগবাজার অংশে ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ অংশে ভৌত কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের সর্বমোট কাজ শেষ হয়েছে ৬৩ শতাংশ।
এ প্রকল্পে ৩১ র্যাম্প বিশিষ্ট চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। আর এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটির র্যাম্প রয়েছে ৩১টি। এ প্রকল্পের জন্যে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
এনবি/এমজে