ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছাত্রলীগ নেতার লোকজন কুপিয়েছে আ.লীগ কর্মীকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছাত্রলীগ নেতার লোকজন কুপিয়েছে আ.লীগ কর্মীকে

রাজশাহী: হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের লোকজন এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।  

রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত ওই আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম নাজমুল ইসলাম ওরফে সুমন (৪২)। তিনি ঝলমলিয়ার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা নজরুল পুঠিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর সুমন ঝলমলিয়া হাটের ইজারাদার ও সাবেক সেনা সদস্য। সুমনও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

হামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিবুর রহমান ওরফে মিঠুর বিরুদ্ধে। তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে মিঠুর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত পহেলা বৈশাখে আনুষ্ঠানিকভাবে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া হাটের ইজারা দেওয়া হয়। সরকারিভাবে ডাকে এ হাটের ইজারা পান সুমন। এর আগে ইজারা পেয়ে হাট পরিচালনা করতেন ছাত্রলীগের ওই নেতা ও তার পরিবার।

তাই হাট ইজারা না পাওয়ার পর থেকেই সুমনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে রোববার বিকেলে সুমনকে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যায় সুমনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুমনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল বলেন, সুমনকে বর্তমানে রামেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। তাকে ধারালো রাম দা দিয়ে নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, আগে থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সরকারিভাবে হাট ইজারা পাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা মিঠু আরও বেশি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠেন। তারা নিয়মিতভাবে হাটে গিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতেন তার চাচা সুমন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়। তার চাচা রোববার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে ধারালো রামদা নিয়ে তার ওপর হামলায় চালানো হয়। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে সবাই জানিয়েছেন। এর সঙ্গে হাট ইজারার বিষয়টি নিয়ে বিরোধ আরও বাড়ে। এটি হামলা পর্যন্ত গড়ায়। তবে সুমন সরকারিভাবেই হাট ইজারা পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। বর্তমানে তারা হামলাকারীদের আটক করতে অভিযানে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।