ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গোদাগাড়ীতে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
গোদাগাড়ীতে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৭১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে দুইজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। আর বাকি পাঁচ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহত সোহেল রানার ভাই মো. হৃদয় বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে ২১ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার মো. ইউনুস আলী, মো. রজব আলী, মো. হায়দার আলী, মো. আতাউর রহমান, মো. মঞ্জুর রহমান, মো. ওমর ফারুক ও মো. আনারুল ইসলাম। এর মধ্যে রামেক হাসপাতালে রজব ও ইউনুস বর্তমানে চিকিৎসাধীন।  

এছাড়া নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর আজ দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি কামরুল।

এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) সকালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গোদাগাড়ী উপজেলার ইয়াজপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জনকে আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। তারা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ী উপজেলার বড়গাছি কানুপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে মেহের আলী (৭০) ও তার বড় ভাই নাইমুল (৮০)। এরপর সোমবার রাতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়। তার নাম মনিরুল ইসলাম (৪০)। মনিরুল গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটের গোসিরা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। এ নিয়ে সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছর রাজশাহীর গোদাগাড়ী পাকড়ি ইউনিয়নের ইয়াজপুর গ্রামে ১৪ বিঘা জমি কেনেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী সেলিম রেজার খালাতো ভাই সোহেল রানা। এ জমি ওয়াকফ সূত্রে পাওয়ার দাবি করে আসছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মচারী আশিক চাঁদ। এ নিয়ে তার সঙ্গে বিরোধ চলছিল সেলিম রেজার। সোহেল রানা এ বছর জমির দখল নেওয়ার জন্য চাষ শুরু করেন। সোমবার সকালে শ্রমিক নিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে যান তিনি। এ সময় আশিকের নির্দেশে ৫০ থেকে ৭০ জন্য ব্যক্তি তাদেরও হামলা চালান। এ সময় সোহেল রানার লোকজন তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চারজন। আর এ চারজনই সেলিম রেজা পক্ষের লোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।