ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সাঈদীর জানাজা নিয়ে সংঘাত: কক্সবাজারের ৬ মামলার আসামি ১২ হাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
সাঈদীর জানাজা নিয়ে সংঘাত: কক্সবাজারের ৬ মামলার আসামি ১২ হাজার

কক্সবাজার: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি প্রায় ১২ হাজার।

জানা গেছে, ওই ছয় মামলায় ৪৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ হাজার ৯০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশের দায়ের করা ৫টি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায়। নিহতের স্ত্রীরটি হত্যা মামলা।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াস মিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানাজা শেষ করে ঘরে ফিরে যেতে বললে ঘটনাটি ঘটে। এসময় পুলিশের ওপর হামলা ও যানবাহন ভাংচুর চালানো হয়।

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। মামলার বাদী ও আসামির নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি পুলিশ সুপার। তবে, কক্সবাজার সদর থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এসপি মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে একই ইস্যুতে চকরিয়ায় সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা ও অপর একটি মামলা করেন নিহতের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলা দুটিতে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে। এছাড়া নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। ওই মামলায় আড়াই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলার ক্ষেত্রেও এসপি বাদী পুলিশের নাম প্রকাশ করেননি। তবে চকরিয়ার থানার সূত্র বলেছে, এই দুটি মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান।

এসপি জানান, বুধবার বিকেলে পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে দুইটি মামলায় মোট ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।

ওমর হায়দার আরও বলেন, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা দুটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জুকে। এ ছাড়া বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালামের নাম রয়েছে মামলায়। এ ৬ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এসবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।