ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গিচরে একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে ফাতেমা আক্তার বিথী (১৭) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে কামরাঙ্গিচর থানা পুলিশ ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে। বিকেলে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ফাতেমা তার পরিবারের সঙ্গে কামরাঙ্গিচরের সিরাজনগর আল-হেরা কমিউনিটি সেন্টার গলির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর। তার বাবা একজন অটো রিকশাচালক, মা বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
নিহতের বাবা জানান, সকালে তার স্ত্রী ফাতেমাকে বকাঝকা করে। এরপর তারা দুজনই নিজেদের কাজে চলে যান। বাসায় ফাতেমা ও ছোট ভাই আব্দুল্লাহ (১১) ছিল। সে তার ভাইয়ের হাতে মোবাইল দিয়ে নিজের রুমে যায়। সেখানেই ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় ফাতেমা। খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেন।
কামরাঙ্গিরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুসরাত জাহান নূপুর জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফাতেমা। তার মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এজেডএস/এমজে