নীলফামারী: দুই মাদক কারবারিকে ফেনসিডিলসহ আটক করে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। কারবারিদের কাছ থেকে জব্দ ১৩০ বোতল ফেনসিডিলও নিয়ে গেছেন তারা।
এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে ওই দুই সদস্যের ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করছে সংস্থাটি।
অনুসন্ধান বলছে, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী বাজারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ১৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ মোস্তফা ও এরশাদ নামে দুই মাদক কারবারিকে আটক করে ডিএনসির ওয়ারলেস অপারেটর খোকন মিয়া ও সিপাহি মো. শাওন। পরে তাদের মামলার ভয় দেখিয়ে অটোরিকশায় করে নিয়ে আসা হয় নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর বাজারে।
সেখানে খোকন ও শাওনের সঙ্গে মোস্তফা ও এরশাদের রফাদফা হয়। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান দুজন। এ সময় জব্দকৃত ১৩০ বোতল ফেনসিডিলও নিয়ে যান ডিএনসির দুই সদস্য। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে গা ঢাকা দেন মাদক কারবারি মোস্তফা ও এরশাদ।
মাদক কারবারি মোস্তফা বলেন, স্থানীয় সোর্সদের মাধ্যমে আমার কাছে ফেনসিডিল কিনতে আসে দুজন লোক। এসে আমাদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে। পরে অটোরিকশায় করে পঞ্চপুকুর বাজারের দিকে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি তারা ডিএনসির লোক। রফাদফা শেষে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে দিলে আমাদের ছেড়ে দেয়। আমাদের মারধর করে বস্তায় থাকা ১৩০ বোতল ফেনসিডিলও নিয়ে যায় তারা।
অবশ্য প্রকাশ্যে এসে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ওয়ারলেস অপারেটর খোকন মিয়া ও সিপাহি শাওন। তাদের দাবি, তারা ঘটনার কিছুই জানেন না, তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।
ওয়ারলেস অপারেটর খোকন মিয়া বলেন, অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই দিন আমি পরিদর্শক শফিকুল স্যারের সঙ্গে একটা মামলার কাজে সহযোগিতায় ছিলাম।
সিপাহি মো. শাওন বলেন, যেদিনের কথা বলা হচ্ছে ওই দিন আমি ডোমার উপজেলায় অভিযানে পরিচালনা করেছি সফিয়ার স্যারের সঙ্গে। এ বিষয়ে আমার জানা নাই, পরে শুনেছি আমার নামে অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত চলছে।
নীলফামারী ডিএনসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর অধিকতর তদন্ত করছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এমজে