লক্ষ্মীপুর: আবুধাবিতে অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশি শ্রমিক মো. ইউসুফ হোসেনের (৩৯) মৃত্যু হয়েছে।
সেখানে থাকা তার ভাই আবুধাবি প্রবাসী দিদার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৯ আগস্ট ইউসুফ কর্মক্ষেত্রে একটি দুর্ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে মারা যান তিনি। ইউসুফ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের শামছু বেপারী বাড়ির মো. আবদুল্লাহর তৃতীয় ছেলে।
এদিকে ইউসুফের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মা মাহফুজা বেগম ও স্ত্রী আছমা বেগম বার বার মুর্চা যাচ্ছেন।
আবুধাবিতে অবস্থানরত ইউসুফের ছোট ভাই দিদার হোসেন জানান, দুই বছর চার মাস আগে তার ভাই ইউসুফ আবুধাবিতে যান। তার আকামা না থাকায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আবুধাবির শারজাহ এলাকার একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় ৯ আগস্ট অগ্নিকাণ্ডে তার শরীর পুড়ে যায়। এ সময় আরও কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। তাদের শারজাহর কুয়েতি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল তার ভাই ইউসুফ। প্রায় ২৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তার ভাই মারা যান।
মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ইউসুফের ভাই দিদার।
ইউসুফের মা মাহফুজা বেগম বলেন, ধারদেনা করে ইউসুফকে বিদেশ পাঠায়েছি। এখনো তিন লাখ টাকা দেনা পড়ে আছে। এরই মধ্যে আমার ছেলে আগুনে পুড়ে মারা গেল। তার স্ত্রী এবং ১১ বছর বয়সী ইয়াসিন ও ৫ বছর বয়সী তাহসিন নামে দুই ছেলে রয়েছে। তারা এতিম হয়ে গেল।
তিনি বলেন, ছেলের মরদেহ যাতে দ্রুত দেশে আসে। শেষবারের মতো ছেলের মুখটা দেখতে চাই।
ইউসুফের স্ত্রী আছমা বেগমের বড় বোন পারুল বেগম বলেন, সংসারের অভাব গোছাতে আমার বোনের স্বামী ইউসুফ আবুধাবিতে গেছে। সেখানে অগ্নিকাণ্ডে তার মৃত্যু হয়েছে। এখন কীভাবে চলবে তাদের সংসার?
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইউসুফ বিদেশের মাটিতে অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে শুনেছি। তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছেলে দুটি এতিম হয়ে গেল। পরিষদের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এএটি