ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ভাইভাতে নেকাব খুলতে বাধ্য করার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিবৃতি জানানো হয়, শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির সাথে শিক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখাকে শিক্ষকদের একাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে দেখছে সমিতি।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান একাডেমিক কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ভাইভা ও অন্যান্য একাডেমিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখা বাধ্যতামূলক হলেও এ বিষয়ে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা বিভাগ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার যে অপতৎপরতা চলছে, সে বিষয়ে শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একাডেমিক নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর 'পরিচয়' নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে অবশ্যই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির সাথে শিক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখতে হয়, যা শিক্ষকদের একাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্বের অংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে একই ইস্যু সৃষ্টি করে দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, মহামান্য আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রমের সময় মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখার পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে ধারণ করে, এখানে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও পোশাক-পরিচ্ছদের স্বাধীনতা রয়েছে। অপরদিকে একাডেমিক কার্যক্রমেরও বিশেষ বিধিবিধান রয়েছে। অতএব সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ একাডেমিক কার্যক্রম স্বাধীনভাবে পরিচালনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। ভবিষ্যতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাবে।
বাংলাদেশ সময় ১৭০২ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ০৩,২০২৩
এসকেবি/এমএম
