ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে ডাক ভবন মিলনায়তনে ৩০টি ডাক ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরের পালকে যুক্ত হলো আরও ৩০টি নতুন ডাক ভবন।
নবনির্মিত ৬টি ডাকঘর ভবনের মধ্যে নরসিংদী প্রধান ডাকঘর, কিশোরগঞ্জ প্রধান ডাকঘর, ঘোড়ামারা প্রধান ডাকঘর, সুনামগঞ্জ প্রধান ডাকঘর, মোহাম্মদপুর টাউন সাব পোস্ট অফিস উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আরও ৩৪টি ডাকঘর ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। পুনর্নির্মিত ডাকঘর ভবনসমূহের মধ্যে ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, কৃষ্ণপুর, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, কামারখালী, আলফা ডাঙ্গা, কাশিয়ানী, মকসুদপুর, মাগুরা, পীরগাছা, মুরাদনগর, দিঘীনালা, রাজৈরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারে ২৪টি ডাকঘর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০২১ সালের ২৭ মে ডাক অধিদফতরের দৃষ্টিনন্দিত ডাকবক্সের আদলে নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত যুগান্তকারী বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় পরিচালিত সমীক্ষার ভিত্তিতে পথনকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি।
মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত পথনকশা ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেওয়ার মতো দুরূহ কাজটিও ডাকঘর ইতোমধ্যে শুরু করেছে।
উপনিবেশ আমলে সৃষ্ট অবকাঠামো কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে মিলে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডাকঘরকে একটি কার্যকর সেবা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে সরকার বদ্ধপরিকর।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিনাত আরা ও বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি