ঢাকা: পুলিশ দিয়ে সাংবাদিকদের কোমরে রশি বাঁধার আইন বলবৎ রাখলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিইউজের একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।
এ সময় তারা অবিলম্বে গণমাধ্যমবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল ও কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানান।
সমাবেশে রুহুল আমিন গাজী বলেন, গণমাধ্যম আর আওয়ামী লীগ একসাথে যায় না। তাদের অতীত কর্মকাণ্ডে এটা প্রমাণিত। এই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দৈনিক বাংলা, টাইমসসহ চারটি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দিনকালসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এই সরকারের আমলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া যাবে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তাই আসুন আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম এবং শেষ সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিনি স্বাধীন গণমাধ্যম বরদাশত করতে পারেন না। তাই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে না। আজ জনগণের একটাই দাবি সেটা হলো, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাই আসুন দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে অংশ নিয়ে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করি।
খুরশীদ আলম বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য রফিকুল ইসলাম দুলালকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মিরপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডিইউজের নির্বাহী পরিষদ সদস্য তালুকদার রুমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তালুকদার রুমি দীর্ঘদিন কারা নির্যাতন ভোগ করছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তালুকদার রুমি ও রফিকুল ইসলাম দুলালের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
সভাপতির বক্তব্যে রাশেদুল হক বলেন, আমরা এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আসুন চলমান একদফা আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সফল করে এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে তালুকদার রুমি ও রফিকুল ইসলাম দুলালসহ সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিশোধ গ্রহণ করি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আবু বকর, জাকির হোসেন, ফটোসাংবাদিক ডিইউজের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক রফিক লিটন, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সম্পাদক নিজাম উদ্দিন অদরবেশ, রাজু আহমেদ,ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
ইএসএস/এএটি