ঢাকা: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১০১ বার পেছানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও চরম হতাশা প্রকাশ করেছে ডিআরইউ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ উদ্বেগ জানান।
ডিআরইউ নেতারা বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হওয়ার দিন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত) বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। খুনের দুই দিন পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহামুদ খন্দকারও বলেছিলেন, তদন্তের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর চললেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদনই জমা পড়েনি। এটা হতাশাজনক।
তারা বলেন, সাংবাদিক সমাজ বিশেষ করে ডিআরইউ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক এমন কোনো কর্মসূচি নেই যা পালন করেনি। কিন্তু কোনো অজানা কারণে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্টই জমা পড়ছে না-এ নিয়ে সাংবাদিক সমাজসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কী সাগর-রুনির পরিবার ন্যায্য বিচার পাবে না? আর কত অপেক্ষা করতে হবে সাংবাদিক সমাজের?
নেতারা আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এই দাবী থেকে কোনো অবস্থাতেই সরে যাবে না। ডিআরইউ বিচারাধীন কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চায় না। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যার বিচার না পাওয়ায় আমরা সাংবাদিক সমাজ অত্যন্ত হতাশ। আমরা এই সাংবাদিক দম্পতির এক মাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘের মুখের দিকে তাকাতে পারি না, আমরা তার কাছে জবাব দিতে পারিনা, কেন তার পিতা-মাতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি- র্যাব যদি এই তদন্ত শেষ না করতে পারে, প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারে, তাওতো তারা আদালতকে জানাতে পারেন। আমার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
টিএ/এসআইএ