ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারকে আধুনিক-পরিকল্পিত করতে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
কক্সবাজারকে আধুনিক-পরিকল্পিত করতে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু 

কক্সবাজার: কক্সবাজারকে আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন করে মাস্টার প্ল্যান (মহা পরিকল্পনা) করা হচ্ছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর মধ্যে “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।  

চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মাদ নুরুল আবছার (অব.), সদস্য লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. খিজির খান উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ লেফট্যানেন্ট কর্নেল তাহসিন বিন আলম কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর হাসান রেজাউল এবং সিএসসি-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিএসসি-এর ডিরেক্টর (প্ল্যানিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাদেক মাহমুদ।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর অব মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার মোট আটটি উপজেলা এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০ দশমিক ৬৭ বর্গ কি.মি. এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (DAP) এবং সমগ্র কক্সবাজার জেলার মোট দুই হাজার ৪৯১ দশমিক ৮৩ বর্গ কি.মি. এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে।

প্রকল্পটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মোট ১৭৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং চলতি বছর ১২ জানুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টকে (সিএসসি) নিযুক্তকরণের বিষয়টি গত ১৬ আগস্ট ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল আগামী ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পটির সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো আগামী ৫০ বছরের মধ্যে কক্সবাজার ও উহার সন্নিহিত এলাকা সমন্বয়ে একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগরী প্রতিষ্ঠাকল্পে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ভূমির ওপর যেকোনো প্রকৃতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং উক্ত অঞ্চলের সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (DAP) সহ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় টেকসই যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পাহাড়, বন, জলাশয় ও সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণ, সমুদ্র সৈকতের নির্দিষ্ট সীমানা সংরক্ষণ, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, সব প্রকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, আবাসন ব্যবস্থা বিষয়ক পরিকল্পনা, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভূমিক্ষয় রোধকরণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।