ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সেলফি পরিবহনের ২০ বাস আটক করল জাবি ছাত্রলীগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
সেলফি পরিবহনের ২০ বাস আটক করল জাবি ছাত্রলীগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী বাসে উঠতে গেলে তাকে বাসে উঠতে না দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে সেলফি পরিবহনের ২০টি বাস আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো আটকাতে শুরু করে তারা।

পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে লিটনসহ কয়েকজন নেতা। পরে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দুপুর দুইটার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আব্দুল্লাহ আল সাদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাদ বলেন, গতকাল রাতে গাবতলি থেকে সেলফি পরিবহনের বাসে উঠতে গিয়েছিলাম। তখন জাহাঙ্গীরনগর যাব বললে, আমাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে আমি আঘাত পাই এবং সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বাস আটককারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসের হেল্পারের ধাক্কায় সাদ মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান এবং তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার জেরে ওই হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা বাস আটকাতে শুরু করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেলফি পরিবহনের মালিকদের একজন বলেন, অন্তত ২০টি বাস আটকে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছোটখাটো ঝামেলার জন্য এতগুলো বাস আটকে রাখলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। পরে লিটন ভাই (ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) আমাদের মালিকপক্ষের দুজনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমাধান করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, বাস আটকানোর ঘটনা শুনেছি। সমস্যার সমাধান হয়েছে। টাকা পয়সার ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যার সমাধান চাই। প্রশাসন যেন বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কোনো শিক্ষার্থী যেন বাস সংশ্লিষ্ট কারও থেকে কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার না হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম. ফিরোজ-উল-হাসান-হাসান বলেন, বাস আটকানোর কথা শুনেছি। তখন নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দিয়েছে। তবে বাস মালিক বা শিক্ষার্থীরা কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।