ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা

খুলনা: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা আসছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জেলায় জনসভা করার যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাতে অংশগ্রহণ পর্যায়ে তিনি খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত।

প্রধানমন্ত্রীর এ আগমন উপলক্ষে সমাবেশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমাবেশ ঘিরে খুলনা সেজেছে নবরূপে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্লেক্স। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নগরী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। দিন-রাত চলছে সরকারের উন্নয়ন বন্দনা নিয়ে মাইকিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করছেন নেতা-কর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ দিতে জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।

বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বাংলানিউজকে বলেন, উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা আগমনে জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে জনসভাস্থল। আমরা আওয়ামী লীগের নির্দেশে সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। সাধারণ মানুষ এক নজর শেখ হাসিনাকে দেখতে অপেক্ষায় আছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ২৬ হাজার নারী ও ২৫ হাজার পুরুষকে জনসভায় নিতে আমরা কাজ করছি।

সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুমান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সার্বিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারা এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও।

খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সোহেল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যতটুকু প্রাপ্তি তার পুরোটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি খুলনাবাসীর প্রাণের মানুষ আর প্রাণের মানুষের দেখা পাওয়ার জন্য উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। এমন মানুষকে এক নজর দেখতে পাওয়াও কম সৌভাগ্যের বিষয় নয়। আমরা অধীর আগ্রহে মাতৃসম নেত্রীকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা। একটি সফল ও সৌন্দর্যমণ্ডিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বিভাগের ১০ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ও সাধারণ জনগণ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে আসবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।