ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীর পরশুরামে শিশু লামিয়া হত্যার ঘটনায় মামলা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
ফেনীর পরশুরামে শিশু লামিয়া হত্যার ঘটনায় মামলা 

ফেনী: ফেনীর পরশুরাম পৌরসভা এলাকায় উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামে এক শিশু হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

 

এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামি করে পরশুরাম থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন লামিয়ার বাবা নুরুন্নবী। এরপর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান। এ সময় থানা হেফাজতে থাকা লামিয়ার মা আয়েশা, সৎমা রেহানা ও বড় বোন নিহার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পরশুরাম থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাদের ধারণা শিশুটির বাবা ‘নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে। তাদের দাবি, ঘটনার চার দিন আগেও আয়েশা পরশুরামে আসেন। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট ওই সূত্রের দাবি, ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির বড় বোন নিহার (১১) কথা অনুযায়ী সে হত্যাকারীদের দেখলে চিনতে পরবে। কারণ হত্যাকারীরা হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো ও সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিল।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বাবা-মায়ের দাম্পত্যকলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। তদন্ত চলমান রয়েছে। লামিয়ার মা আয়েশা ও সৎমা রেহেনা আক্তারকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় স্কেচ টেপ দিয়ে হাত, পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন হেলমেট পরা দুই যুবক। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এইচএডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।