ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সুরক্ষার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সুরক্ষার দাবি

ঢাকা: হাতিমারা কৃত্তিম জলাশয় ও চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সুরক্ষায় ‘গ্রিন গার্ডস’ বা সবুজ প্রহরী তৈরিসহ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেছেন, এ বিষয়ে জনসম্পৃক্ত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি পরিকল্পনার স্বচ্ছ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

ওই বনাঞ্চলে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের ন্যায্য বিশ্লেষণ ও দোষীদের বিচারের মূখোমুখী করতে হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই সকল সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ধরার সহ-আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বনাঞ্চল দীর্ঘ আন্দোলনের অভিজ্ঞতার আলোকে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন চুনতি রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক সানজিদা রহমান। ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, ক্লাইমেট এক্সপার্ট মনির হোসেন চৌধুরী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অরণ্য-এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

মূল বক্তব্যে সানজিদা রহমান বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এরপরও প্রয়োজনাতিরিক্ত পাহাড় কেটে রেল লাইন স্থাপন, বনের ভেতর অবৈধ বসতি প্রতিষ্ঠা, হাজার হাজার একর জমি বন্দোবস্ত ও বেআইনি কেনাবেচা, পাহাড় কাটা, প্রাকৃতিক বন ও বন্যপ্রাণী নির্বিচারে নিধন করে অননুমোদিত ইটভাটায় সরবরাহ করা এবং সামাজিক বনায়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সেখানে নেতিবাচক প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এমনকি হাতির চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও হাতি মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে। বনের বিশাল এলাকাজুড়ে বাঁধ দিয়ে কৃত্তিম জলাশয় তৈরি করার মত গর্হিত কাজ চুনতিতে ঘটেছে। সরেজমিনে পরিদর্শন সেখানে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চলের দৃশ্য দেখা গেছে। তাই ওই অভয়ারণ্য রক্ষায় দ্রুততম সময়ের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শারমীন মুরশিদ বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য গ্রিন গার্ডস বা সবুজ প্রহরী তৈরি করতে হবে। প্রশাসন খবরের কাগজ পড়ে কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া কিছু করে ফেলবে, পরবর্তীতে কি হতে পারে চিন্তাও করবে না, এভাবে চলতে পারে না। তাই নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করে সবুজ প্রহরী গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।

আলোচনায় শরীফ জামিল বলেন, আমি মনে করি না, চুনতির অবক্ষয় কারও অজানা। সবার সামনেই এই বিরল বন, পাহাড় ও জীববৈচিত্র বিনষ্ট করা হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ রুখে না দাঁড়াবে, ততদিন পর্যন্ত চুনতিসহ দেশের বনাঞ্চলের অবক্ষয় চলতেই থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
টিএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।