ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১ লাখ অসহায়কে ইফতার করাবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
১ লাখ অসহায়কে ইফতার করাবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন

ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসে এক লাখ অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রীও বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।

রমজানে অসহায় ও নিম্ন আয়ের রোজাদাররা যাতে ইফতারের আমেজ ও আনন্দ থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় তাই এই মহৎ উদ্যোগটি নিয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় ইফতার বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছে সংগঠনটি। চলবে পুরো রমজান মাস জুড়ে।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন জানায়, আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে কষ্টভোগী রোজাদারদের সম্মানে এই কার্যক্রমটি দুই ভাগে করা হচ্ছে। যেখানে ধানমন্ডি রায়ের বাজারে অবস্থিত মাস্তুল মেহমানখানায়  প্রতিদিন এক হাজারের অধিক অসহায় রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন থাকছে এবং রোজাদারেরা মেহমানখানায় বসে সেই ইফতার খেতে পারবেন। এছাড়া এই কর্মসূচির আওতায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদার, যানবাহন বা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা যানবাহন যেমন বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা ও রিকশার যাত্রীদেরও বিনামূল্যে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হবে।

শুধু তাই নয় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ২০ হাজার ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া যাকাতের মাধ্যমে ৫০০ দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বী করে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় মাস্তুল ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মাস্তুল ফাউন্ডেশন সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রমজানকে আনন্দময় করে তুলতে চায়।

সবাইকে এই পবিত্র রমজান মাসে নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি আরও বলেন, ‘সবার জন্য ইফতার’ তখনি সম্ভব যখন আমরা সবাই মিলে এই উদ্যোগে সামিল হব।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটির প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন ও সেবা প্রকল্প। যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মরদেহ দাফন হয়েছে। মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদরাসা ও শেল্টারহোম। যেখানে আবাসিক-অনাবাসিক মিলে শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে।

এর বাইরে কয়েক জেলায় প্রকল্প স্কুলগুলোয় হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সব শিক্ষার উপকরণ দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজারের বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মাদের জন্য মাস্তুল বৃদ্ধাশ্রম এবং মাস্তুল মেহমানখানা। যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট ভরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৪
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।