সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র কাওসার হোসেন (১৯) ক’দিন ধরে একটি বাইক কেনার কথা ভাবছিলেন। বাইক কেনার জন্য বাবার কাছে টাকা চাইলেও দেবেন না।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের আলোচিত মারুফ হাসান হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে লোমহর্ষক এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আসামি কাওসার হোসেন।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কাওসার। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কাওসার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া ও তাড়াশ সার্কেল) অমৃত সূত্রধর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে কাওসার হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি নিজেই হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী। তারা বাবা সাইদুর ও মারুফের বাবা মোশারফ মামাতো-ফুপাতো ভাই। সেই হিসেবে মারুফ তার চাচাতো ভাই। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জুমা নামাজ পড়তে যায় কাওসার। শুধু ফরজ নামাজ আদায়ের পর কৌশলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর তাকে অপহরণ করে তালুকদার মার্কেটের পেছনে তার বাবার লিজ নেওয়া পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। এরপর ওই মার্কেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে বলে আসামি তার জবানবন্দিতে জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কাওসার। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৫ এপ্রিল জুমার নামাজের পর নিখোঁজ হয় মারুফ হাসান। এ ঘটনায় তার বাবা মোশারফ হোসেন থানায় জিডি করেন। এরপর পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মারুফকে উদ্ধারের তৎপর হন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাওসারসহ ৫ জনকে আটক করে। আটক কাওসারকে জিজ্ঞসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে ঝুড়ঝুড়ি বাজারের তালুকদার মার্কেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। বাকি চারজন ঘটনায় জড়িত না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
এএটি