ঢাকা: স্ত্রী শাশুড়ির পর মারা গেলেন রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া লিটন (৪৮)। শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ'তে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লিটন আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৭ শতাংস দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০) ও শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৮০) মারা যান।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় লিটনের ৩ সন্তান ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
এর আগে, গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন (৪৮), তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাদের ৩ সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৮), ও লিটনের শ্বাশুরি মেহরুন্নেছা (৮০)।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, লিটনের বাড়ি ময়মনসিংহে। পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দুই তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসার সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ৬ জনই দগ্ধ হন।
তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, গ্যাস লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিলো। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বর্তমানে লিটনের মেয়ে লিজা শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, ছেলে সুজন ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
এজেডএস/এমএম