ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস রোববার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস রোববার 

ঢাকা: কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি পালনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উদযাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

’ 
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয়নগরস্থ শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস এবং গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা জানান।  

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হয়। বাংলাদেশে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালা ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবছর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ২৮ এপ্রিল ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি সংক্রান্ত বিধিবিধান পালনকে সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ দিবসে ঢাকাসহ দেশের সব শ্রমঘন এলাকায় প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, একইদিন দেশের ১২টি সেক্টরের ২৯টি কারখানা/প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেওয়া হবে। ১২টি সেক্টর হলো- তৈরি পোশাক (ওভেন), তৈরি পোশাক (নিট), টেক্সটাইল, চা, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, চামড়া (ফিনিশড গুডস), চামড়া (ট্যানারি), ফার্মাসিউটিক্যালস, টাইলস অ্যান্ড সিরামিক, ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ। বিজয়ী কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট, একটি মেডেল ও একটি সার্টিফিকেট পাবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের শিল্প ও পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি সহজতর করবে। পাশাপাশি আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের জীবনমান উন্নয়ন ও কলকারখানার কর্মপরিবেশ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী রোববার আলোচনা সভা, স্যুভেনির প্রকাশ, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, টেলিভিশনে টকশো, জেলায় জেলায় ট্রাক শো, পোস্টারিংসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ ও স্থানসমূহ সজ্জিতকরণ এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত অধিদপ্তরের ৩১টি উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা এবং অন্যান্য জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিন সকাল ১০টায় খামার বাড়ি, খেজুর বাগান, থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি, কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করবেন।  

দিবসটি উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সভাপতি, সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সচিব, আইএলও, জিআইজেডসহ উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি, মালিক ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।