ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দেশের আইনে ব্রাহমা জাতের গরু নিষিদ্ধ নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
দেশের আইনে ব্রাহমা জাতের গরু নিষিদ্ধ নয়

ঢাকা: দেশে বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংসের দাম প্রায় ৮০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। আর ১০ শতাংশের ওপরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ব্যয় সংকোচন নীতির চাপে যখন সাধারণ মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত।

তখন বিতর্ক চলছে মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত ব্রাহমা লালন, পালন, প্রজনন ও আমদানি নিষিদ্ধ কি নয়। সাম্প্রতিক সময়ের এক ঘটনায় আলোচনা যেন আরও বেড়েছে।

ব্রাহমা জাতের বীজ বা গরুর আমদানি করা যাবে না এরকম কোনো কথা বলা নেই এবং ব্রাহমা নিষিদ্ধ আইনের কোথাও উল্লেখ নেই এটা নিষিদ্ধ নয়। সরকারি নীতিমালাসহ আইন-কানুন বলছে, ব্রাহমা নিষিদ্ধ নয়। দেশে দুধের উৎপাদন যেন না কমে- সে জন্য এটি বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃত্রিম প্রজনন ক্ষেত্রে সরকার ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪ এর ৩৪ ধারায় গবাদিপশুর হিমায়িত সিমেন আমদানির বিষয়ে বলা হয়েছে, গবাদিপশুর হিমায়িত সিমেন ও এমব্রায়ো, ফ্রিজিয়ান, ফ্রিজিয়ান ক্রস, শাহিওয়াল, শাহিওয়াল ক্রস, ফ্রিজিয়ান-শাহিওয়াল ক্রস, এএফএস, এএফএস ক্রস জাতের গবাদিপশুর হিমায়িত সিমেন (ডিপ ফ্রোজেন সিমেন) ছাড়া অন্যান্য গরুর সিমেন আমদানি নিষিদ্ধ। তবে শর্ত থাকে যে, ফ্রিজিয়ান, ফ্রিজিয়ান ক্রস, শাহিওয়াল, শাহিওয়াল ক্রস, ফ্রিজিয়ান-শাহিওয়াল ক্রস, এএফএস, এএফএস ক্রস, ব্রাহমা, মুররাহ, নিলিরাভি ও মেডিটেরানিয়া মহিষের জাতের গবাদিপশুর হিমায়িত সিমেন, এমব্রায়ো আমদানি করা যাবে। অর্থাৎ এই নীতি আদেশে ব্রাহমা জাতের গরুর সিমেন আমদানিতে কোনো বাধা নেই।

২০১৬ সালে করা বেসরকারি পর্যায়ে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনার সংশোধিত নীতিমালাতে সিমেন আমদানি ও ব্যবহারে শর্ত জুড়ে দেওয়া থাকলেও কোথাও উল্লেখ করা হয়নি বাংলাদেশে ব্রাহমা গরু নিষিদ্ধ বা ব্রাহমার সিমেন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ২০০৭ সালের জাতীয় প্রাণিসম্পদ নীতিমালাতেও ব্রাহমাকে নিরুৎসাহিত করার মতো কিছু উল্লেখ নেই।

গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন এবং প্রজননের জন্য সুপারিশকৃত নীতিমালা ২০০৭ এ বলা হয়েছে, অধিক মাংসের জন্য গবাদিপশু পালনে ইনটেনসিভ পদ্ধতিতে গবাদিপশু প্রতিপালনের ক্ষেত্রে মাংস ও দুধ, এ দ্বৈত উদ্দেশ্য সফলকারী শংকর জাতের ষাঁড় (হলস্টেন-ফ্রিজিয়ান দেশি) ব্যবহার করা হবে। এ জন্য ৫০ শতাংশ ব্রাহমা এবং ৫০ শতাংশ দেশি ক্রমোন্নতি জাতের ব্যবহার (পরীক্ষামূলক) করা হবে। উন্নত মাংস-সমৃদ্ধ দেশ হতে অধিক গুণ সম্পন্ন ব্রাহমা জাতের কিছু সিমেন (বীর্য) ক্রয় করা হবে। বিদ্যমান স্বল্প বিনিয়োগ পদ্ধতিতে উন্নত দেশি ষাঁড় (রেড চট্টগ্রাম, পাবনা এবং আদর্শ দেশি) এর ব্যবহার অব্যাহত রাখা হবে।

এরপর ২০১৩ সালের জুলাইয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল কীভাবে টেকসই মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাতের উন্নয়ন করা যায়। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের একটি সুযোগ তৈরি করা। ৩৮ জেলার ৮০ উপজেলায় চালানো হয় ওই প্রকল্প। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাড়ে আরও কিছুটা বরাদ্দ ও সময়।

ওই সময়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক ওই প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরুর লালন-পালন কতটা বা কেন দরকার তা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, বাংলাদেশে এর আগে একটি টেকসই, লাভজনক এবং অধিক মাংস উৎপাদনকারী গরুর কোনো জাত না থাকায় চাহিদার তুলনায় প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন কম ছিল। এরই মধ্যে দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন প্রয়োজন এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। একটি দেশীয় গরুর প্রাপ্ত বয়সে মাংস উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে মাত্র ৭০-৮০ কেজি, সেখানে ব্রাহমা জাতের একটি প্রাপ্তবয়স্ক (২০-২৪ মাস) গরুর মাংস উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে ৭০০-৮০০ কেজি বা আরও বেশি। তাই, মাঠ পর্যায়ের কৃষক ও খামারিদের মধ্যে ব্রাহমা জাতের গবাদিপশু পালনে আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। এ প্রকল্প পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হলে ২-৩ বছর বয়সে একটি গরুর ওজন প্রায় ২৭ মণ বা এক টন পর্যন্ত হতে পারে। সঠিক মাত্রায় খাবার দিলে বাংলাদেশে একটি ব্রাহমা জাতের বাছুরের দৈনিক গড়ে ৯০০-১০০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন বাড়ে।

ওই প্রকল্প মূল্যায়নের ৭ম অধ্যায়ে করা সুপারিশের ৪ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়, বাণিজ্যিক ব্রাহমা খামার স্থাপন ও পরিচালনার জন্য আগ্রহী খামারিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাসহ ফেসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করতে হবে। আর ৮ নম্বর পয়েন্টে ব্রাহমা জাতের গরু লালন-পালনকে এগিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় টেকসই ও উপযোগী, এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং খামারিদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বিধায় প্রকল্প এলাকা ছাড়াও রিজিওলান ব্রিডিং পলিসির আলোকে এলাকাভিত্তিক এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।

এ মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন ওই সময়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সহকারী প্রধান গাজী শরিফুল হাসান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা সেল প্রধান মো. আবুল বাশার, পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ- আইএমইডির উপ-পরিচালক আফরোজা আকতার চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক এস এম এ সামাদসহ কয়েকটি বিভাগের প্রতিনিধি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের কোনো আইন ও নীতিমালায় ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ নয় তবে এটা নিয়ন্ত্রিত। ব্রাহমা লালন-পালন, সিমেন আমদানি ও বিধি মেনে ব্যবহারেও বাধা দেওয়া হয়নি। তবে, কেন যেন এই জাতের গরু লালন-পালন ও সম্প্রসারণে বাধা দেওয়া হয়।

কৃত্রিম প্রজনন আইন ২০১৭, লাইফস্টক ক্যাটল পলিসি ২০০৭, বাণিজ্য নীতিমালা সমস্ত জায়গায় কোথাও আপনি পাবেন না যে ব্রাহমা গরু নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃত্রিম প্রজনন আইন ২০১৭ সেখানে বলা হয়েছে, ব্রাহমা গরু যদি কৃত্রিম প্রজনন করা হয় সেক্ষেত্রে অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। কৃত্রিম প্রজনন ক্ষেত্রে সরকার এটা নিয়ন্ত্রণ করে রাখছে। এ জাত কৃত্রিম প্রজনন করা যাবে না। আপনার একটি ফার্ম আছে, কোনো অনুষ্ঠানের জন্য আপনি এজাতের একটি গরু আনবেন সেক্ষেত্রে আপনার অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই। বাধাটা হচ্ছে কৃত্রিম প্রজনন বা গরু থেকে সিমেনস সংগ্রহে এবং বিক্রিতে। আসলে মূল সমস্যা হলো নিয়ন্ত্রিত ও নিষিদ্ধ নিয়ে এ দুইটা শব্দের মধ্য পার্থক্য আছে সেটা অনেকেই বুঝি না। যখন সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এটাকে নিষিদ্ধ বলবে তখন মানুষের মনে হবে এটা অবৈধ কিছু। আসলে ব্রাহমা গরু নিষিদ্ধ নয় নিয়ন্ত্রিত।

তিনি বলেন, মাংসের দাম কমানোর জন্য এ গরুর কোনো বিকল্প নেই। এ জাতটির আদি নিবাস যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশ, ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এটি বেশ উপযোগী। এমনকি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালতে যেখানে তুলনামূলক ঠান্ডা আবহাওয়া তৈরিতে খামারিকে ফ্যান-এসি চালাতে হয়, সেখানে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও স্বাভাবিক থাকে ব্রাহমা জাতের গরু।

ইমরান বলেন, সরকার যে অজুহাতে ব্রাহমা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেটা তাদের মাঠ কর্মী দিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করলে কোনো সমস্যাই হয় না। এখন তাদের এআই কর্মী যারা আছে তারা যদি খামারিদের উল্টা পাল্টা বীজ দেয় নিয়ন্ত্রণ যদি না রাখতে পারে সে দায়ভার কি খামারির। এজন্য এআই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তারা বলছে (প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর) ব্রাহমা অনুমোদন দিলে বিপর্যয় হবে, এটা যদি তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। তাহলে সেটা তাদের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

দেশে ব্রাহমার লালন-পালন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বেসরকারি পর্যায়ে গবাদিপশু কৃত্রিম প্রজনন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা আছে সেখানে বলা আছে, ব্রাহমা জাতের গরুকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সেখানে মূলত ব্রাহমার কথা বলা নেই। দেশি, হলস্টিয়ান ও ফ্রিজিয়ান এ তিনটি জাতের গরু নিয়ে কার্যক্রম করার নির্দেশনা আছে। আমরা মূলত গত ৫০ বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরু নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দেশি গরুর সঙ্গে সংকরায়ণ করে উন্নত জাতের গরু তৈরি করছি। যেগুলো ৫০ থেকে ৬০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়।

তিনি বলেন, ব্রাহমা জাতের গরুগুলো যদি আমাদের দেশি বা উন্নত জাতের গরুর সঙ্গে ক্রস হয়ে গেলে মারাত্মকভাবে দুধ উৎপাদন কমে যাবে। যেটা আমাদের দেশি জাত ও দুধ উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সেজন্য আমরা এটা নিরুৎসাহিত করছি। আমরা যদি কোনো কারণে ব্রাহমা জাতের গরুকে আমদানি করার কোনো সুযোগ দেই তাহলে আমাদের অজান্তেই ক্রস হয়ে যেতে পারে। তাহলে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। সে কারণে যে বিপর্যয় ঘটবে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা আমাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। এ বিপর্যয় এড়ানোর জন্য এটা আমরা নিরুৎসাহিত করছি। সে কারণে নীতিমালায় ব্রাহমা জাতের কথা উল্লেখ করেনি। তবে ব্রাহমা জাতের বীজ বা গরুর আমদানি করা যাবে না এরকম কোনো কথা বলা নেই এবং ব্রাহমা নিষিদ্ধ আইনের কোথাও উল্লেখ নেই, এটা নিষিদ্ধ না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশের কোনো আইন-নীতিমালার কোথাও ব্রাহমা নিষিদ্ধ তা নেই। তারপরও আমরা বাণিজ্যিক পরিসরে এ জাতের গরু লালন-পালনের অনুমতি দেই না। যদিও মাংস উৎপাদনের জন্য এ জাতের গরুর খ্যাতি রয়েছে।

অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে এতদিনের চেষ্টায় দেশি জাতের সঙ্গে ফ্রিজিয়ান, হলস্টিয়ানের ক্রস করে অনেক বেশি দুধ উৎপাদনের জাতের সম্প্রারণ করা হয়েছে। ব্রাহমার দুধ খুবই কম হয়। দুই তিন লিটারের মধ্যেই থাকে। এখন যদি ব্রাহমার সিমেন ব্যবহার বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে অসতর্কতা বশত দুধের জাতের গাভিতে এটি কোনো কারণে চলে গেলে দুধের লাইনটি নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া, দুধের গাভি থেকে যে শুধু দুধ পাওয়া যায় তা নয়, মাংসও পাওয়া যায় বেশ।

বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সাবেক পরিচালক এস এম এ সামাদ জানান, যখন আমি ছিলাম তখন এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন নতুন কোনো আইন করে ব্রাহমাকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কি না তা জানি না। তবে, এফআরসি মানে কী পরিমাণ খাবার খেয়ে কী পরিমাণ ওজন হবে সেই রেট ব্রাহমার অনেক ভালো। মাংসে চর্বির পরিমাণও তুলনামূলক কম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কম পুঁজির খামারি বা গৃহস্থ বাড়িতে খুব সহজেই এই জাতের গরু লালন-পালন করে বাজারে কমমূল্যে মাংসের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

প্রসঙ্গত, ব্রাহমা ঘিরে এত আলোচনা-সমালোচনার শুরু ২০২১ সালে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেসময় সাদিক অ্যাগ্রোর আমদানি করা ১৮টি গরু জব্দ করা হয়। হাইকোর্টের দেওয়া এক আদেশে দেখা যাচ্ছে, মিথ্যা ঘোষণায় ওই চালান আমদানির কথা বলা হলেও ব্রাহমাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়নি ওই রায়ে।

 

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৪

জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।