বাগেরহাট: বাগেরহাটে সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৭ হাজার ৫০০ শিশুকে সাঁতার শেখানো হবে। শিশুদের জন্য বিশেষ এ কেন্দ্র শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা ও খেলাধুলার দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা দেওয়া প্রকল্প’-এর অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাগেরহাট শিশু একাডেমি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপপরিচালক ডা. ফকরুল হাসান, জেলা শিশু কর্মকর্তা শেখ আসাদুর রহমান, বাগেরহাট জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শরিফা খাতুন, উত্তরণের ফোকাল পারসন মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির বাস্তবায়নে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা দেওয়া প্রকল্প’টি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং শরণখোলা উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৩ বছরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্র কার্যক্রম, জীবন রক্ষাকারী সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্যারেন্টিং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ৩টি উপজেলায় ৫০০টি শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে এ বছর ১২ হাজার ৫০০ জন শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে ৬-১০ বছরের ৭ হাজার ৫০০ জন শিশুকে জীবন রক্ষাকারী সাঁতার শেখানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
আরবি