ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

দেশ ও মানুষের কল্যাণে স্লোগান ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে: আমিনুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
দেশ ও মানুষের কল্যাণে স্লোগান ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে: আমিনুল ইসলাম

কুড়িগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এই গ্রুপেরই সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ ধারাভিক ভাবে এই অঞ্চলের নারীদের আর্থকভাবে স্বাবলম্বী করতে প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।

তারই অংশ হিসেবে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেলেন কুড়িগ্রামের ৬০ নারী।

এই প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী উপজেলা ফুলবাড়ী দেশের অন্যতম দরিদ্র এলাকা। কৃষিনির্ভর এই এলাকার দিনমজুরদের হাতে সারা বছর কাজ থাকে না। শিক্ষায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর নেই বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ। এই এলাকায় নেই কোনো শিল্প-কারখানা। ফলে বছরের কয়েক মাস পুরুষরা বেকার বসে থাকে। মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে কেউ কেউ। নারীদের বেশির ভাগই শিকার হয় বাল্যবিবাহের। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাবে কোনো কাজ করার সুযোগ মেলে না।

ফলে অর্ধেক জনগোষ্ঠী বেকার বসে থাকে। সংসারে অভাব বাড়ে, বাড়ে নানা সংকট। বেকার নারীদের অনেকেই আবার বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, দরিদ্র ও অসহায়। তাঁদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে লেপ্টে আছে ক্ষুধা আর হতাশা।

নেই সামাজিক মর্যাদা, নেই সচ্ছলতার কোনো পথ। দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ এমন দরিদ্র অসচ্ছল নারীদের বাছাই করে শুভসংঘের মাধ্যমে প্রথমে তিন মাসব্যাপী বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এরপর স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাঁদের দিয়েছে বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন। বসুন্ধরা গ্রুপের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই অঞ্চলে রিলিফজাতীয় কিছু কাজ হলেও স্বাবলম্বী হওয়ার মতো সুযোগ করে দেওয়ার কাজ করে না কেউ। সে ক্ষেত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের এই চিন্তায় নতুনত্ব আছে। আছে স্বপ্ন দেখানোর প্রত্যয়। অন্যরাও এই উদ্যোগ দেখে উৎসাহিত হলে তা এই এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে মাইলফলকের ভূমিকা পালন করবে।

এই উদ্যোগের ফলে স্বল্প শিক্ষিত দরিদ্র নারীরা উপযুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন জীবনের পথ খুঁজে পাবেন। সন্তানদের, বিশেষ করে কন্যাসন্তানদের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়ে তাদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে পারবেন। প্রতিরোধ হবে বাল্যবিবাহ। সংসারের অভাব মোচন করে খাদ্য ও পুষ্টির জোগান বাড়বে। রোগব্যাধি ও বিপদের দিনে খরচ জোগানোর ভরসা পাবেন। সেলাই মেশিনটি আয়ের উৎসই শুধু হবে না, সামাজিকভাবে তাঁদের মর্যাদাও বাড়াবে। বাড়াবে সক্ষমতা, যা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগটির ব্যাপ্তি আরো বাড়বে। সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও চর ও দুর্গম এলাকায় সম্প্রসারিত হবে এই কর্মসূচি। দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাদের স্লোগান ছড়িয়ে পড়বে সবখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১,২০২৪
এমএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।