ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে দুই লাশ, মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
রাজধানীতে দুই লাশ, মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রীর খাল থেকে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (৪৫) নামে এক ব্যক্তির এবং কদমতলী পাটেরব্যাগ এলাকার রাস্তা থেকে মাহবুব (২৫) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত মাহফুজুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মহেষপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত শামসুল আলম। ঈশ্বরগঞ্জে চায়না প্রজেক্টে কাজ করতেন তিনি, থাকতেন বনশ্রী জি ব্লকের ১ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে।

ডেমরা রাজাখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব আলম জানান, গত ২৯ আগস্ট সকাল থেকে মাহফুজুর নিখোঁজ ছিলেন। ৩০ আগস্ট রাতে খিলগাঁও থানায় তার স্ত্রী নুরজাহান মিল্কি নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। শনিবার সকালে স্বজনরা খিলগাঁও থানাধীন বসুতি মা ও শিশু হাসপাতালের অপর পাশের খালে বাঁশের ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান লাশ শনাক্ত করেন।

তিনি জানান, খালের পানিতে লাশ ভাসতে থাকায় নৌ পুলিশে খবর দেওয়া হলে দুপুর দেড়টার দিকে সেখান থেকে মহাফুজুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মাথার পিছনে একটি জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া শরীর কিছুটা পচে ফুলে গেছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত মাহফুজুরের বড় ভাই মাহবুবুল আলম জুয়েল জানান, ১৬-১৭ বছর আগে বিয়ে করে মাহফুজ। তার কোনো সন্তান নেই। ২৯ তারিখ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। আজ সকালে লোক মারফত খবর পাই, খিলগাঁও বনশ্রী এলকার খালে একটি মরদেহ ভাসছে। সেখানে গিয়ে ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি। তবে কারা তাকে খুন করতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি মাহবুবুল আলম।

অন্যদিকে কদমতলীতে নিহত মাহবুবের (২৭) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি। তার বাবার নাম হাসান আলী। স্ত্রী আখি আক্তার ও ১ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায়।  

মাহবুবের মামা হাবিবুর রহমান জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি কারখানায় দিনমজুরের কাজ করেন মাহবুব। শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে নিজের মোটরসাইকেলে বন্ধু জাকিরকে নিয়ে বের হন তিনি। শনিবার সকালে স্বজনরা খবর পান কদমতলীর পাটেরবাগ মিনাবাগ ১ নং গলির মাথায় মাহবুবের লাশ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে মাহবুবের। কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে স্বজনরা কিছু জানাতে পারেননি। তবে তার বন্ধু জাকিরকে ধরলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন স্বজনরা।

সুরতহাল প্রতিবেদনে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজাহার হোসেন জানান, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিনাবাগ এলাকার রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী তাকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৪
এজেডএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।