ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্তে কিশোর জয়ন্ত হত্যায় সনাতনী পেশাজীবী ফোরামের নিন্দা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
সীমান্তে কিশোর জয়ন্ত হত্যায় সনাতনী পেশাজীবী ফোরামের নিন্দা

ঢাকা: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সাধারণ সনাতনী পেশাজীবী ফোরাম (সাসপেফো)।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জয়ন্ত কুমার সিংহের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমরা সাধারণ সনাতনী পেশাজীবী ফোরাম (সাসপেফো) অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুনরায় এক কিশোর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে কিশোরী স্বর্ণা দাশকে (১৩) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্তে গুলি করে হত্যা করার মাত্র ৮ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার আবারও জয়ন্ত কুমার সিংহ নামের (১৫) আরেক বাংলাদেশি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি, সোমবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের বটতলী ঠুমনিয়া গ্রামের মহাদেব সিংহ, তার ছেলে জয়ন্ত ও দবরারুসহ (মতান্তরে দরবার আলী) কয়েক জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। তারা বালিয়াডাঙ্গীর ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই জয়ন্ত মারা যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মহাদেব ও দবরারুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বর্তমানে তারা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এই দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা কোনোভাবেই সীমান্তে বিচারবহির্ভূত হত্যাকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। আমাদের জন্য ঘটনাগুলো আরও বেদনাদায়ক কারণ দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা মনে করি, তারা দুজনই আমাদেরই পরিবারের সদস্য, আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই ভাই-বোন। আমরা ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকারের কাছেই সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ, হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করার দাবি জানিয়েছিলাম। সেই সাথে আমাদের দাবি ছিল, নিহতের পরিবারকে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। স্বর্গীয় জয়ন্ত সিংহের ক্ষেত্রেও আমাদের চাওয়া একটাই: সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া। ”

বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ সনাতনী পেশাজীবী ফোরামের সদস্যরা আরও বলেন, এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত তৃতীয় কোনো ঘটনা ঘটনার আগেই, আমরা দৃঢ়ভাবে  বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ-ভারত উভয় পক্ষই সীমান্তে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে দৃশ্যমান ও টেকসই পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় আমরা শুধু প্রতিবাদলিপি দিয়েই ক্ষান্ত হব না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।