ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সবচেয়ে সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার: সারজিস 

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
সবচেয়ে সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার: সারজিস 

সাভার (ঢাকা): বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার। যিনি অফিস মন্ত্রণালয়ে না করে হাসপাতালে করবেন।

তিনি প্রত্যেকটা হাসপাতালে দৌড়ে বেড়াবেন। কিন্তু আমরা যেমন অ্যাক্টিভ দেখতে চাই তেমনটা দেখতে পাই না।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের যে জিনিসগুলো সেবার জন্য দেওয়া হয়, এই জিনিসগুলোর মধ্যে যেখানে বেড প্যাক দেওয়ার কথা সেখানে পেপার দেওয়া হয়েছে। যে জায়গাগুলো লেগেছে সেই জায়গায় পেপার দেওয়া মানে তো সেখানে ইনফেকশন করবে।  

তিনি আরও বলেন, আরেকটা অভিযোগ এসেছে এখানকার পরিবেশ, এখানে নতুন বিল্ডিং আছে সেখানকার পরিবেশ ভালো। কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে কিছু রুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রুমগুলোতে রোগী রাখা হয়েছে। এখন তারা যদি বলে এখানে রোগী বেড়েছে বলে পরিত্যক্ত রুমে রাখা হবে, যেগুলো গোডাউনের চেয়েও খারাপ। সেটা তো কোনো যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।  

সারজিস বলেন, আমরা আসছি এই খবর শুনে দৌড়াদৌড়ি করে ফ্লোর মোছা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় স্যাভলন দেওয়া হচ্ছে, ক্লিন করা হচ্ছে। এগুলো তো এক দুই দিনের জন্য আমাদের দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা তো প্রতিদিন আসবো না। এটা করতে হবে ৩৬৫ দিনের জন্য।  

খাবারের বিষয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যেদিন খাবারের অভিযোগ দেওয়া হয় ওই দিন কিংবা ওই বেলা ভালো খাবার দেওয়া হয়। তারপর আবার আগের মতোই। আপনি একটা হসপিটালে খাবারের বিজনেস করছেন, লাভ করবেন সমস্যা নেই। কিন্তু এই লাভটা যদি চুরির পর্যায়ে চলে যায়, আপনি যদি তিন বেলা খাবারের বিষয়ে জিম্মি করেন রোগীদের তাহলে তো সমস্যা।  

তিনি আরও বলেন, শুধু সিআরপি না বাংলাদেশের যেকোনো হাসপাতালেই যেদিন কেউ পরিদর্শনে আসবে সেদিন ধুয়েমুছে চকচকে করা হয়। আমরা তো মাত্র ত্রিশ মিনিটের নোটিশে এসেছি, আমাদের সামনেও তারা ধোয়ামোছা শুরু করেছে।  

ওষুধের জন্য স্টাফদের কাছে গিয়ে বার বার বলতে হয়। এ বিষয়ে কথা বললে তারা খারাপ আচরণ করেন। এক বারে গিয়ে কখনও পাওয়া যায় না। এইরকম সেনসেটিভ জায়গাগুলোতে এমনটা আমরা প্রত্যাশা করি না। সেটা আন্দোলনকারী হোক কিংবা সাধারণ রোগী। এটা তো আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই, আন্দোলনকারী বলে চিকিৎসা এক রকম হবে আর সাধারণ রোগী বলে চিকিৎসা আলাদা হবে এটা প্রত্যাশা করি না। কারণ এই আন্দোলনকারী ভাইবোনরাই এক সময় সাধারণ হয়ে আসবে।

এই অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের হেলথ টিম এখানে আসবে৷ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে।  

এটি ঢাকার থেকে একটু বাইরে, লোকজন কম আসে, মিডিয়ার ফোকাস কম এজন্য যেমন ইচ্ছে তেমন করবে এটা হতে পারে না বলেও সতর্ক করেন সারজিস আলম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।