ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জয়পুরহাটে পুকুর দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৪
জয়পুরহাটে পুকুর দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৪ 

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সরকারি খাস পুকুর দখল নিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পেঁচুলিয়া কোঁচ পুকুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পশ্চিম পেঁচুলিয়া গ্রামের মৃত আফসের আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী, গোলাম রাব্বানীর ছেলে জামিউল লাদাইন জামরুল(১৯), আফসের আলীর ছেলে গোলাম মাওলা(৫০) ও জিতারপুর গ্রামের মৃত আব্বাসের ছেলে মোতাহার হোসেন(৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী জানায়, মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দুই একর আয়তনের কোঁচ পুকুরে মাছ চাষ করছেন পেঁচুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মণসহ তাদের লোকজন।

পুকুরের আয় থেকে তারা সর্বজনীন দুর্গা ও কালি মন্দিরে পূজা পার্বণ সম্পন্ন করে আসছেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জিতারপুর গ্রামের মওলা, রব্বানী ও ছালামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুকুরটি তাদের দাবি করে মাছ ছেড়ে দিয়ে পুকুর পাড়ের বাঁশ কাটতে থাকে। এ সময় বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ পেঁচুলিয়া গ্রামের ৬ জন এবং জিতারপুর গ্রামের একজন আহত হয়।

আহতরা হলেন- পেঁচুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মন (৭৫), মিঠুন চন্দ্র (২৬), বিজলী রাণী (৪০), অর্চনা রাণী (৪৩), পবিত্রা রাণী (৪৫) ও ভারতী রাণী (৪৫) এবং জিতারপুর গ্রামের আ. ছালাম (৫৫)।

পেঁচুলিয়া গ্রামের শুভ চন্দ্র জানান, মন্দিরের জন্য মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন থেকে ওই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু শুক্রবার জিতারপুর গ্রামের মওলা ও রব্বানীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল পুকুরে জোর করে মাছ ছেড়ে পুকুর পাড় থেকে বাঁশ কাটতে থাকে। বাধা দিলে বাঁশের লাঠি ও কোঁদাল দিয়ে তারা মারপিট করে তাদের ছয়জনকে আহত করে।

জিতারপুর গ্রামের আ. ছালাম বলেন, ওই পুকুরসহ পুকুর পাড়ের সাত বিঘা জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা পেঁচুলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দখল করে আসছে। আমরা শুক্রবার দখল নিতে গেলে তারা বাধা দেয়। তাদের বাধায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ আল মামুন বলেন, পুকুরের দখল নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় অজিত চন্দ্র বর্মণের ছেলে সুবাস চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।