লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শহিদ উল্যা নামে এক ব্যক্তি জলাশয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।
সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা গ্রামে জনবসতিপূর্ণ তায়া মসজিদ এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়।
এজন্য তায়া মসজিদ এলাকা থেকে স্থানীয় গৌধুলীর হাটে যাওয়ার মাটির রাস্তা কেটে পাইপ নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি বালু উত্তোলন বন্ধে মো. রায়হান নামে এক ব্যক্তি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে লোক গিয়ে অভিযুক্ত শহিদকে বালু উত্তোলনের জন্য নিষেধ করলেও তা বন্ধ করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, তায়া মসজিদ এলাকার একটি বড় জলাশয় থেকে প্রায় প্রতিবছরই শহিদ বালু উত্তোলন করিয়ে আসছেন। নেছার মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু উত্তোলনে আশপাশের কয়েকশ’ পরিবার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। শহর কসবা গ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার একমাত্র মাটির চওড়া রাস্তাটিও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেও শহিদ কর্ণপাত করেন না। উল্টো বাধা দিলে সবাইকে হুমকি ধমকি দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহির বলেন, বালু উত্তোলনে আমরা বাধা দিয়েছি। বালু উত্তোলনে আশপাশের প্রায় ৩০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এরপরও শহিদ অনুরোধ করে বলেছেন, তার মেয়েকে বাড়ি করে দেওয়ার জন্য বালু উঠিয়ে একটি জমি ভরাট করবেন। এজন্য পরে আর বাধা দিইনি। স্থানীয় তহশিলদার এসেও বিষয়টি দেখে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ উল্যা বলেন, জলাশয়ের চারপাশে ভাঙন রোধে দেয়াল (প্যালাসাইটিং) করা হয়েছে। দেওয়ালগুলো না ভাঙলে মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। আমি মাছ চাষ করবো। পুকুরটি যেন গভীর হয়, সেজন্য বালু তোলা হচ্ছে। এতে পুকুরে মাছ চাষের উপযোগী হবে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ বলেন, লোক পাঠিয়ে আরও একবার বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। ফের উত্তোলনের বিষয়টি জানা নেই।
খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৪
এসআইএস