নীলফামারী: ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে রেলওয়ে গণপরিবহন সুবিধা বাড়াতে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) চালু হচ্ছে একটি কমিউটার ট্রেন। মাত্র এক ঘণ্টাতেই জয়দেবপুর থেকে ছেড়ে পৌঁছে যাবে ঢাকায় আর মেট্রো রেলের আদলে ওই ট্রেনটির জন্য প্রয়োজনীয় কোচ মাত্র ১৫ দিনে পুননির্মাণ হয়েছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় রেলওয়ের পরিবহন বিভাগে ৮টি কোচ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ১৫দিন ধরে পুরাতন জরাজীর্ণ ৮টি কোচকে নতুন রুপে পুননির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। কারখানটির ক্যারেজ শপে ও জেনারেল ওভার হোলিং শপে (উপ-কারখানা) ওই কোচগুলো মেরামত করা হয়। কোচগুলোর পুরাতন আসন বিন্যাস ভেঙে এর রূপ দেওয়া হয় মেট্রোরেলের মত করে। ফলে কোচগুলোতে অধিক সংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়ে ও বসে যেতে পারবেন। তবে কোচের জানালার পাশে আড়াআড়ি করে দুধারে রয়েছে সিটের ব্যবস্থাও। এ ধরণের ৫টি কোচ যুক্ত হচ্ছে জয়দেবপুর কমিউটার ট্রেনে। বাকি তিনটিতে থাকবে মুখোমুখি আসন ও পাওয়ার কার।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বতীপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার রান করেছে ট্রেনটি। এসময় কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।
ট্রায়াল রানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার মমতাজুল ইসলাম। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার মমতাজুল ইসলাম জানান, দারুণ একটি কাজ হয়েছে। সৈয়দপুর রেলকারখানার শ্রমিক-কর্মচারী অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় এই ট্রেনটি বানিয়েছেন। এটি শনিবার রেলওয়ে বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার
ট্রেনটি জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। এতে করে রেলওয়ের ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, অত্যন্ত টেকসই ও উন্নতমানের কোচ নির্মাণে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা সক্ষমতা দেখিয়েছেন। ভবিষ্যতে বিভিন্ন রুটে এ ধরণের কমিউটার ট্রেনের সেবা সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
এমএম