ঢাকা: রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ‘ব্লেড বাবু’ হত্যা মামলার আসামি মো. মুরাদকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি দল। পল্লবী থানাধীন বঙ্গবন্ধু কলেজের পশ্চিম পাশের নতুন রাস্তায় গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও মারধরে ভিকটিম মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হয়।
পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মিম বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ডিবি-মিরপুর বিভাগ। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাতে পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি এফজেড ও একটি টারবো মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সূত্র জানায়, আসামি মুরাদ পল্লবী এলাকার মুসা-রাজন গ্রুপের সদস্য। ভিকটিম বাবুও পল্লবীর আরেক সন্ত্রাসী মামুন গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধের কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রেপ্তার মুরাদ হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটি মামলার আসামি।
আসামি মুরাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
এমএমআই/এমজেএফ