নীলফামারী: মৌসুমের সবচেয়ে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের নীলফামারীর জনপদ। ফলে লোকজন খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না।
রাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জনপদ। ভোরে ও দিনের প্রথমভাগে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এতে কর্মজীবী লোকেরা খুব একটা কাজে যাচ্ছেন না। এ কারণে শ্রমজীবীদের আয়-রোজগারও কমে গেছে। দিনের বেশির ভাগ সময় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন লোকজন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্টে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে গোটা জেলার মানুষজন। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সৈয়দপুরের রিকশাচালক জব্বার আলী জানান, ঘনকুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মতো কুয়াশা পড়ছে। ঠান্ডায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও পেটের দায়ে বের হইছি।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা মোটামুটি থাকলেও প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
দুপুর ১টার আগে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমানে ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ৫০ মিটার বিরাজ করছে। বিমান চলাচলের জন্য ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
আরএ