ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খান কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খান কারাগারে সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খান কারাগারে

বাগেরহাট: বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এর আগে গত শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর থেকে বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খানকে আটক করে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় পুলিশের আরও তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

পরে শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ফকিরহাট থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম মিঠু পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে, বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুকুম দিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন।

বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে “একটি ব্যালট, একটি বুলেট” বক্তব্য এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েকদিন আগে মৎস্য অধিদপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে “যেখানে উন্নয়ন, সেখানেই ধ্বংস” এমন বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার স্বীকার হন এই পুলিশ সুপার। তার বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়। গেল বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুব মোরশেদ লালন বলেন, সাবেক তিন সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ সুপারকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আবুল হাসনাত খান  পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা অন্যায় করেছেন। এটা তার বিভিন্ন বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।

গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায়, বাগেরহাট-২ আসনের আরেক সাবেক সদস্য সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দারকেও আসামি করা হয়েছে।

এসব আসামিদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গেল ৪ আগস্ট  দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা, ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া, আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকগুলি ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।