মৌলভীবাজার: সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও রেলস্টেশনটি এক বছর ধরে বন্ধ। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে আর যাত্রীরা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ।
অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই এই স্টেশনটি বন্ধ থাকার কারণ।
কুলাউড়া জংশন সূত্রে জানা গেছে, টিলাগাঁও রেল স্টেশনটি গত ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এর আগে রেলওয়ের জনবল সংকটের কারণে একাধিকবার স্টেশনটি বন্ধ ছিল। গত ২০০৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ১ মাসের বেশি সময় স্টেশনটি বন্ধ থাকার পর এ স্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মাস্টার যোগ দেওয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে তাকে আবারো প্রেষণে বদলি করা হয় একই সেকশনের সমশেরনগর স্টেশনে। মূলত এর পর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্টেশনটি।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে স্টেশনটি বন্ধ আছে। কবে আবার চালু হবে তা আমার জানা নেই। ’
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া ও কমলগঞ্জের একাংশ) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বাংলানিউজকে জানান, স্টেশনটি বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আবারও চালুর ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে চা বাগান ও এলাকার জনসাধারণের সুবিধার্থে এ স্টেশন স্থাপন করা হয়। বি-গ্রেডের স্টেশন টিলাগাঁওয়ে শুধু চা বাগানের মালামাল বুকিং করেই প্রতিদিন সরকারের হাজার হাজার টাকা রাজস্ব আয় হতো। অথচ বর্তমানে টিলাগাঁও স্টেশনটি অরতি অবস্থায় পড়ে আছে। যেখানে ৩ জন মাস্টার থাকার কথা সেখানে একজনও নেই। ৩ জন পয়েন্টসম্যান থাকার কথা থাকলেও শুধু রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য রয়েছেন পয়েন্টসম্যান ইয়াছিন আলী।
শুধু তাই নয় লোকবলের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে স্টেশনে ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে মালামাল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একসময় টিলাগাও স্টেশনটি এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল। বর্তমানে স্টেশনটি বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ট্রেনের খবর জানতে, মালামাল বুকিং ও টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে অসংখ্য যাত্রী সিলেট, আখাউড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতাযাতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১