ঢাকা: ২০১৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ১৬২ জন। এ বছর তা বেড়ে ছয় হাজার ৫৮২ জনে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে এসেছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটের সম্প্রসারিত মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এ বছর মোট প্রকাশিত ঘটনার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় দশ হাজার ৭৭০ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। অথচ গত বছর আহতের সংখ্যা ছিল আট হাজার ৯১৪ জন।
এবছর উল্লেখযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনা হলো নাটোরের বড়াইগ্রামের দুর্ঘটনা। যশোরে বরযাত্রী বাহী গাড়ির দুর্ঘটনায়ও বহু মানুষ নিহত হন। বিশিষ্ট সাংবাদিক জগলুল হায়দার চৌধুরী ২৯ নভেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। নৌ-পথে বড় ট্রাজেডি পিনাক-২ এ লঞ্চ ডুবি।
এছাড়া রেলপথে এ সপ্তাহে কমলাপুরের দুর্ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য। তবে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল, মহাসড়কে ছোট ছোট যানসহ বিভিন্ন মহাসড়কে ধীরগতির বাহন চলাচলের কারণে।
ব্ল্যাকস্পটে যে সব দুর্ঘটনা হতো সেগুলো মেরামত করার কারণে মানিকগঞ্জ রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডসহ বেশ কয়েকটি রোডে দুর্ঘটনা কমেছে। গত বছর ব্ল্যাকস্পটের সংখ্যা ছিল ২০৯টি। ২০১৪ সালে তা কমে হয়েছে ১৪৪টি।
এসময় সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এরমধ্যে চালকের সচেতনতা ও তাদের দায়িত্বশীল করার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া, এসএসসি পাস দরিদ্র ও বেকার যুবকদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ চালক হিসেবে গড়ে তোলা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সব পক্ষকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে নতুন ধারা সংযোজন, সব মহাসড়ক এবং প্রধান সড়কে একমুখী চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়ে দীর্ঘ ও উচ্চতা সম্পন্ন সড়ক বিভাজনকারী রোড ডিভাইডারের ব্যবস্থা করাসহ দুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়গুলো সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ট্রিপ কিংবা ডেইলি বেসিসে বা ভাড়া ভিত্তিতে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনার বর্তমান রীতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মকভাবে বাড়ছে বলেও দাবি নিসচা’র।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের তিন যুগ্ম মহাসচিব বেলায়েত হোসেন নান্টু, সাদেক হোসেন খান, লিটন, এরশাদসহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪