রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুলাল মিয়া (৪২), হাজেরা খাতুন (৫৫), বাবুল মিয়া (৩৫), খলিল মিয়া (৩০), রফিক মিয়া (৬০), কিরন মিয়া (৩০), বাবু (৩০), মোক্তার হোসেন (২৫), মতিজা বেগম (৫০), আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া শিপন (৩২), হাজী মাহমুদুল হাসান (৪৩), বোরহান উদ্দিন (৩৪), সেলিনা আক্তার (৪৫), মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সামাদ (৬০) ও সাথী আক্তারের (৩১) নাম জানা গেছে।
আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাজেরা খাতুন ও মতিজা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর (রোববার) অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে ফিরোজ মিয়াকে পরাজিত করে অপর প্রাথী ওসমান গনি ভূঁইয়া খোকন জয়ী হন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিতলগঞ্জ বাজারে ওসমান গনি ভূঁইয়া খোকন ও তার লোকজন মিষ্টি বিতরণ করেন। এসময় পরাজিত প্রার্থী ফিরোজ মিয়াসহ তার লোকজন ওসমান গনি ভূঁইয়ার লোকজনকে দেখে ওস্কানিমূলক আচরণ করেন।
এ নিয়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
এছাড়াও উভয়পক্ষই তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪