যশোর: যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইসমাইল শেখ ও তার বন্ধু আল আমিনকে হত্যার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পাঁচ কর্মকর্তাসহ ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
রোববার (১৪ জুন) নিহত কলেজ ছাত্র ইসমাইলের বাবা বিলাল উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে যশোর সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইব্রাহিম অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন, এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এএসআই জসিম উদ্দিন ও বাঘারপাড়ার চাপাতলা গ্রামের রণজিত তরফদারের ছেলে বরুণ কুমার তরফদার।
যশোর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৪ মে সন্ধ্যায় যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার টেকনোলজি বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ইসমাইল শেখ তার বন্ধু আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে হাইকোর্ট মোড়ের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়। এরপর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরদিন দুপুরে সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তাদের মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তাদের জানায়, ছিনতাইকালে তারা গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ এ সংক্রান্ত মামলাও করে।
কিন্তু মামলার এজাহার, ঘটনাস্থল ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে, নিহতের পরিবার জানতে পারে, প্রেমঘটিত কারণে মেয়ে পক্ষের লোকজন পুলিশকে দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আসামি বরুণ কুমার হাওলাদার পুলিশকে ব্যবহার করে ইসমাইল ও তার বন্ধু আল আমিনকে অপহরণ করে নিয়ে রাতের যেকোন সময় হত্যা করে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের বাবা বিলাল শেখ থানায় হত্যার অভিযোগে মামলা দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
এমজেড/