ঢাকা: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে পাষণ্ড স্বামী আমিরুল ইসলাম ইমনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় আসামি আমিরুল আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু ঝাকড়া গ্রামের মো. গফুরের ছেলে।
এছাড়া মামলার অপর আসামি পলাতক সৌরভের বিরুদ্ধে হত্যার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯৯ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার দলুয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক অনটনে যাচ্ছিল তাদের। পরে ২০০৩ সালে ঢাকায় এসে গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করেন এই দম্পতি।
রাজধানীর পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেকশনের ৫ নম্বর রোডের ৯৪৯ নম্বর ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা। চাকরি করলেও ২০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে আয়েশাকে প্রায়ই মারধর করতেন ইমন।
যৌতুক দিতে না পারায় এক পর্যায়ে ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ইমন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বকর সিদ্দিক রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেফতার ইমন আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এরপর ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে আমিরুল ইসলাম ইমন ও সৌরভ নামে আরেকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক।
রায় ঘোষণার আগে মামলায় সাত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
এমআই/এমএ